হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থা, কোনো কোনো ভবনের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে, বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে দরজা-জানালা। জানালার গ্রিলে ধরেছে মরিচা। ভবনের দেয়াল বেয়ে উঠেছে গাছ। শিকড় ছড়িয়েছে ভবনের চারদিকে। যেকোনো সময় ভবন ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের ৭টি তে কমপ্লেক্স হয়েছে। চৌমুহনী, আদাঐর, শাহজাহানপুর, ও জগদীশপুর ইউনিয়নের পুরাতন ভবনেই চলছে ঝুঁকিপূর্ণ সেবা কার্যক্রম। আবার চৌমুহনী, শাহজানপুর ও জগদীশপুর এই ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ এর ভবন অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ।
সূত্র জানায়, পরিষদের জন্য উপযুক্ত জায়গা না পাওয়ায় এ সকল ইউনিয়ন পরিষদে কমপ্লেক্স নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ চৌধুরী জানান, মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস সাথে জড়িয়ে রয়েছে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের নাম। ১৯৬৩ সালে শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে থেকেই ছোট একটি ভবনেই কাজ করছেন চেয়ারম্যান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মেম্বার, উদ্যোক্তা, ব্যাংক ও গ্রাম পুলিশরা। রুম সংকটের কারনে দিনদিন কাজের পাশাপাশি গ্রাম আদালতের বিচারিক কাজ কর্মে বেগ পেতে হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের। সেবাগহীতারা গাদাগাদি করে সেবা নিয়েছেন। কমপ্লেক্স ভবনটি হলে ইউনিয়ন বাসির নাগরিক সুবিধা আরো বেড়ে যেত।
চৌমুহনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, পুরাতন ভবন জনসাধারনকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। ভূমি জটিলতার কারণে চৌমুহনী ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবন হচ্ছে না। সরকারি সহযোগিতায় ভূমি জটিলতা কাটিয়ে কমপ্লেক্স ভবন হলে জনসাধারণ সেবার মান অনেক বেড়ে যেত।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, ভূমি সংকটের কারণে চারটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। আগে একটি কমপ্লেক্স ভবন করতে ৫০ শতক ভূমির প্রয়াজন ছিল। এখন ২৫ শতক ভূমি হলে কমপ্লেক্স ভবন করা যায়। যে চারটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ বাকি রয়েছে চেয়ারম্যানগণ ২৫ শতক ভূমি দিলে আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতরে পাঠানো হবে।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ