১১ দফা দাবিতে রাজশাহী বিভাগে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। এর অংশ হিসেবে পাবনা জেলায়ও দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট চলছে।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ জেলার বাসস্ট্যান্ডগুলো থেকে কোনো পরিবহন ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। এমনকি আসেওনি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
পাবনার একাধিক বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, বাসগুলো টার্মিনালে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সাধারণ যাত্রীরা যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু কোনো ধরনের বাসের দেখা পাচ্ছেন না। ঢাকামুখী অনেকেই পাবনা শহর থেকে কাজীরহাট ফেরি ও লঞ্চঘাট পর্যন্ত যাচ্ছেন। এতে তাদের সময় ও অর্থ দুটোই বেশি লাগছে।
মনোয়ার হোসেন নামের একজন বলেন, ‘মাধবপুর নামক স্থান থেকে পৌর শহরের অটোরিকশা ভাড়া জনপ্রতি ৪০ টাকা। কিন্তু এখন নেওয়া হচ্ছে জনপ্রতি ৬০ টাকা। এটা জুলুম।’
সেলিনা খাতুন বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সড়কজুড়ে অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। গন্তব্যে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে সবাইকে।’
এদিকে রাজশাহীর গণসমাবেশ ঠেকাতে এ ধর্মঘটকে সরকারের নীলনকশা ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, ছোট শিশুরাও জানে, সরকার ও সরকারের আজ্ঞাবহ লোকজন আমাদের ৩ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ ঠেকাতে এ পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এতে কোনো লাভ নেই, মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছেন। কোনো বাধাই তাদের আটকাতে পারবে না। সরকারের পতন হবেই।
পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মমিন বলেন, ১১ দফা দাবিতে আমরা আগেই আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারা পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমাদের এ ধর্মঘট। কারও সমাবেশের জন্য এই ধর্মঘট ডাকা হয়নি।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ