কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে ইয়াবার লেনদেনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে হত্যা করা হয়েছিল আবদুল মালেককে। এরপর মৃতদেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল খাটের নিচে। এঘটনার ২০ মাস ১৫ দিন পর আদালত মালেকের ২ বন্ধুকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদান করেছে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের আবদুস সালামের ছেলে পারভেজ হোসেন বাবু ও একই উপজেলার বাবদি ইউনিয়নের আবদুর রবের ছেলে মোহাম্মদ মোতালেব। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
খুন হওয়া আবদুল মালেক কক্সবাজার শহরের বাদশার ঘোনা এলাকার জাকের হোসেনের ছেলে। ২০২১ সালের ১৫ মার্চ কক্সবাজার শহরের কলাতলীর সুইট হোম রিসোর্টে নামের একটি আবাসিক হোটেলে খুন হন তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইানজীবী পিপি ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইয়াবা কারাবারের সূত্রে মালেকের সঙ্গে বাবু ও মোতালেবের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ২০২১ সালে ১৫ মার্চ রাতে মালেককে খুন করে মরদেহ খাটের ভেতরে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যান বাবু ও মোতালেব। এ ঘটনায় মালেকের ভাই আবদুল খালেক বাদী হয়ে বাবু ও মোতালেবসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা বাবু ও মোতালেব ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে দোষ স্বীকার করেছেন। বিচার প্রক্রিয়া শেষে বুধবার মামলার রায় প্রদান করা হয়।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ