সিরাজগঞ্জের তাড়াশে লালুয়া মাঝিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. মোতলেবুর রহমানের (৫০) বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী (১৩) কে শ্লীলতাহানি ও যৌন নিপিড়নের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আছাদুজ্জামান।
তিনি জানান, শ্লীলতাহানি ও যৌন নিপীড়নের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা মো. জাফর ইকবাল টিটু এর প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আর এরই প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত অফিস সহকারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া প্রক্রিয়াও চলছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লালুয়া মাঝিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. মোতলেবুর রহমান দীর্ঘদিন যাবত তারই বিদ্যালয়ের পাঠদান শুরুর আগে সকাল ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়ান। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার তিনি শুধু মাত্র ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী বাদে সকল শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেন। ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে এসে দেখেন আর কোনো শিক্ষার্থী নেই। সে চলে যেতে চাইলে অফিস সহকারী মোতলেবুর রহমান কৌশলে ওই ছাত্রীকে একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখে। সেখানে তাকে যৌন নিপিড়নের চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে নিপীড়নের শিকার ওই ছাত্রী ছাড়া পেয়ে বাড়িতে চলে আসে এবং বিষয়টি তার অভিভাবককে জানান। এর প্রতিকার চেয়ে যৌন নিপীড়নের শিকার স্কুল ছাত্রীর বাবা অফিস সহকারী মোতলেবুর রহমানের বিরুদ্ধে রোববার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে লালুয়া মাঝিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. মোতলেবুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি হার্টের রোগী বিশ্রামে আছি। এ বিষয় পরে কথা বলবো। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আছাদুজ্জামান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, পাশাপাশি এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফকির জাকির হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক এখনও এ বিষয়ে আমাকে কিছু বলেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ