নীলফামারীর ডিমলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের গুদাম হয়ে উঠেছে আ’লীগের অফিস। আর এই অফিস থেকে চাল বিতরণ করা হয়।
জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত ইউনিয়ন পর্যায়ে হতদরিদ্রদের জন্য কার্ডের মাধ্যমে (খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির) আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলারের মাধ্যমে চাল বিতরণ করেন।
গত (অক্টোবর-২০২২) মাসে ডিলাররা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে অর্থ জমা দিয়ে ডিমলা খাদ্য গুদাম থেকে চাল উত্তোলন করে নিজ নিজ গুদাম থেকে হতদরিদ্রদের মাঝে এই চাল বিতরণ করা হয়।
শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মেহের আলীর চাল বিতরণের কোনো গুদাম নেই। গুদাম ছাড়াই তিনি কতৃপর্ক্ষকে ম্যানেজ করে নাউতারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে আনুমানিক ১১০ বস্তা চাল মজুদ করেন। বিষয়টি জানাজানির পর স্থানীয়রা এবং এলাকার সাংবাদিকরা সেখানে সরেজমিনে যায়। সেখানে তারা গিয়ে আওয়ামী লীগের অফিসে ডিলারের চাল রাখার সত্যতা পায়।
জানা যায়, প্রতিবার চাল উত্তোলনের সময় খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হক ডিলার মেহের আলীর মাধ্যমে কৌশলে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে চাহিদার বেশি চাল উত্তোলন করে। বিতরণ শেষে সুযোগ বুঝে অধিক লাভের আসায় অবশিষ্ট চাল রাতারাতি ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেন।
এ বিষয়ে ডিলার মেহের আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মজুদকৃত চালের বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হক স্যার সবকিছুই জানেন।
ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনামুল হক (গ্রেনেট) তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিতরণের পর অবশিষ্ট চালের বিষয়ে আমাকে ডিলার জানায়নি। নির্ধারিত সময়ে কোনো ডিলারের বিতরণকৃত চাল শেষ না হলে অবশিষ্ট চালের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।তবে অজ্ঞাত কারণে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি ওই ডিলারের বিরুদ্ধে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হারুন অর রশিদ বলেন, বিতরণ শেষে ডিলারদের গুদামে চাল রাখার নিয়ম নেই। ইতোমধ্যে বিষয়টি কে বা কারা মিনিস্টারিতে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ