নেত্রকোনার পূর্বধলায় সরকারি কলেজ রোড এবং পূর্বধলা টু কাপাশিয়া রোডে সরকারি গাছ ব্যক্তি মালিকানা স্থাপনায় ক্ষতির আশঙ্কায় গত ১১ অক্টোবর উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ৯টি গাছ নিলামে বিক্রি করে।
স্থানীয় কামরুল ইসলাম খান সর্বোচ্চ ৯৬ হাজার ৫শত টাকায় গাছগুলো ক্রয় করেন। নিলামকারীর বিরুদ্ধে ৯টি গাছ কর্তনের স্থলে ১৬টি গাছ কর্তনের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কামরুল ইসলাম রাজপাড়া গ্রামের মৃত. আদম আলী খানের ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক।
মো. জাহিদ হাসান কাঞ্চন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এক লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিলামকারী ৯টি গাছের স্থলে ১৬টি গাছ কেটে নিয়েছে। নিলামে কলেজ রোডে ৪টি মেহগনি, ৪টি রেইনট্রি ও কাপাসিয়া রোডে ১টি মেহগনি গাছ কর্তনের অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু কলেজ রোডে অতিরিক্ত ৬টি ও কাপাসিয়া রোডে ১টি মেহগনিসহ মোট ৭টি বেশি গাছ কর্তন করা হয়েছে।
কাঞ্চন অভিযোগে আরো বলেন, ‘নিলাম বহির্ভূত ৭টি গাছের গোড়া বিদ্যমান পাওয়া যাবে। কর্তিত গাছের প্রমাণ ধামাচাপা দিতে সেখানে কৌশলে মাটিসহ অন্যান্য দ্রব্য রাখা হয়েছে। বাইরে থেকে দেখে বুঝার উপায় নেই এখানে কোন গাছ ছিল। সঠিকভাবে দ্রুত তদন্ত করলে ঘটনার সত্যতা মিলবে।’
অতিরিক্ত গাছ কাটার ঘটনাটি স্থানীয় বিভিন্ন মহলে সমালোচনার খোরাক যুগিয়েছে। এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বেআইনিভাবে গাছ কাটার জন্য নিলামকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদিকুল জাহান রিদান বলেন, ‘মালিকানা স্থাপনায় ক্ষতির আশঙ্কায় স্থানীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় প্রসেসিং শেষে গত ১৮ অক্টোবর চিহ্নিত ৯টি গাছের উন্মুক্ত নিলাম সম্পন্ন করা হয়। নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা কামরুল ইসলাম খান গাছগুলো ক্রয় করেন। অতিরিক্ত গাছ কাটার বিষয়ে প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স এ ব্যাপারে বলেন, ‘অতিরিক্ত ৭টি গাছ কর্তনের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ