ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সচিবকে প্রকাশ্যে ঘুষি মারলেন ইউপি সদস্য

প্রকাশনার সময়: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১৩:০১
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ধারণ করা ছবি

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দায়িত্ব পালনকালে ইউপি সচিবকে মারধর করেছেন এক ইউপি সদস্য। ইউপি সচিব বর্তমানে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনার একটি সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।

ভুক্তভোগী ইউপি সচিবের নাম জাকের হোসেন (৫০)। অভিযুক্ত আমজাদ হোসেন (৪৮) পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

ভাইরাল হওয়া সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিজ কক্ষের চেয়ারে বসে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন ইউপি সচিব জাকের হোসেন। এ সময় ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন তেড়ে গিয়ে ইউপি সচিব জাকেরকে কিল-ঘুষি মারেন। কিন্তু এ সময় আশপাশে কয়েকজন ইউপি সদস্য ও সাধারণ মানুষ থাকলেও কেউ ইউপি সচিবকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি।

ইউপি সচিব জাকের হোসেন বলেন, ইউপি সদস্য আমজাদ আমার ওপর অতর্কিত হামলা করেছে। মূলত তার অবৈধ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার ওপর এ হামলা করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেনকে কয়েকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসহাব উদ্দীন বলেন, আমাদের ইউপি সচিব জাকের একজন সহজ-সরল মানুষ। সে কাজের প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল। মূলত ইউপি সদস্য আমজাদের অবৈধ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে অতর্কিতভাবে মারধর করা হয়েছে। তবে ঘটনার সময় আমি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সমন্বয় সভায় ছিলাম। ঘটনাটি শুনার পর আমি সভায় বিষয়টি তুলে ধরেছি। সভায় ইউএনও মহোদয় ঘটনায় জড়িত ইউপি সদস্য আমজাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়াও আমি নিজেও জাকের হোসেনকে নিয়ে রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক বলেন, ঘটনার পরপরই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এতে মারধর করা হয়নি, সামান্য ঝগড়াঝাটি ও কথা কাটাকাটি হয়েছে। এছাড়া ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ আমি এখনো দেখি নাই। তবে গতকাল রাতে ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যানসহ সচিব থানায় এসে অভিযোগ দিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ঘটনার ব্যাপারে অভিহিত হয়েছি। এছাড়া এ ঘটনায় ইউপি সচিব ও ইউপি সদস্যের পক্ষ থেকে পৃথক অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ