নওগাঁর রাণীনগরে চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে রবি শস্য আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগাম জাতের ধান কেটেই আলু-সরিষাসহ বিভিন্ন রবি শস্য আবাদে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারে।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৯৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষা, ১ হাজার ৪১৫ হেক্টর জমিতে আলু, ৪৬০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা এবং পেঁয়াজ, রসুন, মিষ্টি আলু, মুসর ডাল, খেসারি ডাল, সূর্যমুখীসহ ৬ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন রবি শস্য আবাদ হচ্ছে।
এর মধ্যে আগাম জাতের ধান কাটার পর কৃষকরা আলু, সরিষা, পেঁয়াজ, রসুন রোপণ শুরু করেছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, গত মৌসুমে কৃষকরা সরিষা চাষ করে প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) জমি থেকে প্রায় ২০/২২ হাজার টাকা লাভ করেছেন। সেই লক্ষ্যে আগাম জাতের ধান রোপণ করেছিলেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এর মধ্যে কৃষকরা সরিষা, আলুসহ বিভিন্ন রবি শস্য রোপণ শুরু করছেন।
রাণীনগর উপজেলার বড়িয়াপাড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম ফটিক বলেন, গত মৌসুমে মাত্র আড়াই বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছিলাম। সেবার সরিষা আবাদে যে পরিমাণ লাভ হয়েছে, তা দেখে এবার প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে সরিষা রোপণ করেছি।
কালীগ্রাম কসবাপাড়ার কৃষক বাচ্চু খান বলেন, গত বছর সরিষা চাষে যে লাভ হয়েছে এর আগে ধান আবাদ করে এমনটি হয়নি। তাই এবার আগাম জাতের ধান রোপণ করেছিলাম। ধান কেটেই প্রায় সাড়ে ৭ বিঘা জমিতে সরিষা রোপণ করছি। আশা করছি, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন এবং দাম দুটোই ভালো পাওয়া যাবে।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গত মৌসুমে সরিষা চাষে কৃষকরা বিঘা প্রতি প্রায় ২০/২২ হাজার টাকা লাভ করেছেন। এবারও আলু-সরিষা আবাদের লক্ষ্যে কৃষকরা আগাম জাতের ধান চাষ করেছিলেন। ধানের ফলন এবং বাজারে সর্বোচ্চ দাম পেয়ে ধানেও প্রায় ১৫/২০ হাজার টাকা প্রতি বিঘা জমি থেকে লাভ করেছেন। বর্তমান সরকার কৃষকদের স্বাবলম্বী করতে বিনা মূল্যে রাসায়নিক সার, বিজসহ বিভিন্ন উপকরণ এবং আর্থিকভাবে সহায়তা করছেন।
তিনি আরও বলেন, সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ হতে পারে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষা-আলুতে ভালো ফলন হবে এবং কৃষকরা লাভবান হবেন। এক্ষেত্রে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ