ফেনী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন দুলাল বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে আমার ব্যাপারে যে বহিস্কার আদেশ পত্রটি প্রচারিত হয়েছে তা সম্পর্কে আমি আপনাদের অবগত করতে চাই। সেখানে যে পূর্বে বহিস্কৃত শব্দটি লেখা হয়েছে সঠিক নয়। মূলত আমার বিরুদ্ধে কোন বহিস্কার আদেশ ছিল না। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বপালন করেছি।
রোববার (২০ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে রামপুর তার বাসায় সাংবাদিক সম্মেললে তিনি এসব কথা বলেন।
দুলাল আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মোতাবেক তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে রাজপথে সংক্রীয় হই। দালের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা হচ্ছে কোন বহিষ্কারাদেশ দেওয়া যাবে না এবং বহিষ্কৃতদের দলের ভিতরে ফিরিয়ে আনতে হবে। জেলার এই মেয়াদ উত্তীর্ণ আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ নেতার নির্দেশ অমান্য করে শুধু বহিষ্কার বহিষ্কারাদেশ খেলা খেলছে। এরা দলের সব নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করে দুই চারজনকে নিয়ে শুধু দল পরিচালনা করতে ইচ্ছুক।
তিনি বলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির মেয়াদ ৩ বছর ২ মাস চলছে। যদিও এদেরকে শুধুমাত্র তিন মাসের জন্য দায়িত্ব দেয়া হছে। এই কমিটি রাজপথ ছেড়ে এখন ভিতরের বাজারের বিভিন্ন অলিগলিতে ও বিভিন্ন লোকের বাসা-বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। এই কমিটি পুরোপুরি ব্যর্থ। এদের এই ব্যর্থতা ডাকার জন্য তারাা বিভিন্ন অজুহাতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের হেনস্তা করছে এবং অপমান-অপদস্থ করছে। কারন ছাড়া বহিষ্কার করছে।
এই ধারাবাহিকতায় তদবিরবাজ নেতারা পিকেটার সুজনের নাম নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বানোয়াট রিপোর্ট প্রদান করেন। ইতিপূর্বে বহিষ্কার করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ দায়ের করের। এখানে পিকেটার সুজনকে আওয়ামী লীগের হাতে সপর্দ করেছি বলে অভিযোগ করেন। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। সুজন আমার পাশেই উপস্থিত। সে নিজেই আপনাদের সম্মুখে তার বক্তব্য পেশ করবেন।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ