ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সুস্থ হয়ে পরিষদে ফিরলেন লায়লা

প্রকাশনার সময়: ২০ নভেম্বর ২০২২, ১৯:০৩

লায়লা বেগম। বয়স একচল্লিশ। পেশায় গ্রাম পুলিশ। মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের দক্ষিণ মশদগাও গ্রামের মৃত. মিজান খানের সহধর্মিণী তিনি। জীবনযুদ্ধে এক জয়ী সৈনিক।

তিনি কনকসার ইউনিয়ন পরিষদে ২০১৪ সালে গ্রাম পুলিশের চাকরিতে যোগদান করেন। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় হার্টের বাল্প নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তখনকার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ লায়লার প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করান। এরপর নতুন চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ আলম মোড়ল ও আবুল কালাম আজাদ মিলে লায়লার চিকিৎসার জন্য স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেন। প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ করে তার চিকিৎসা করানো হয়। তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে পরিষদে এসেছেন রোববার সকালে। তাকে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ আলম মোড়ল, ইউপি সচিব মো. মকসুদ মিয়া (মেহেদী), ইউপি সদস্য, সংরক্ষিত সদস্যসহ তার সহকর্মীরা।

জানা যায়, দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসা শেষ কর্মস্থলে ফিরলেন তিনি। মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয় তাকে। প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে প্রতিমাসে ১০ হাজার করে টাকা লাগে ঔষধ ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য।

লায়লা বেগম জানান, আমি ভিষণ খুশি। ৯ মাস পরে কর্মস্থলে ফিরলাম। সবচেয়ে বড় কথা হলো মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলাম। পরিষদ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আজ আমার চিকিৎসা হয়েছে। তারা চিকিৎসা না করালে হয়তো আর বেঁচে উঠতে পারতাম না। তাই বিশেষ ধন্যবাদ চেয়ারম্যান স্যারকে। সে সাথে যারা আমার চিকিৎসায় সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে।

ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ আলম মোড়ল বলেন, আমি পরিষদে এসে শোনলাম আমাদের পরিষদের গ্রাম পুলিশ লায়লা বেগম অসুস্থ। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি তার হার্টের বাল্প নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দ্রুত চিকিৎসা না করানো গেলে লায়লার অবস্থা অবনতির দিকে চলে যাবে। তাই আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেই। সে সাথে স্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে কথা বলি তাদের সহযোগিতায় চিকিৎসা করতে সক্ষম হই।

আমাদের মুন্সীগঞ্জ- ২ আসনের অভিভাবক অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি আপা এক লাখ টাকা, এ্যাবা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাতঘড়িয়া গ্রামের কৃতি সন্তান সাজ্জাদুর রহমান মৃধা (শিপন) ভাই এক লাখ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। সে সাথে আরও অনেকের সহযোগিতায় চিকিৎসা করতে সক্ষম হই।

তিনি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আরও জানান, আজ লায়লার পাশে বিত্তবান মানুষ যেভাবে এসে দাঁড়িয়ে। সমাজের এমন অসহায় মানুষের পাশে যদি যে যার সমর্থ অনুযায়ী সহযোগী করে তাহলে সকল অসহায় লায়লা সুস্থ হয়ে যাবে। তাদের মুখে হাসি ফিরে আসবে।

নয়াশতাব্দী/জেডএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ