হবিগঞ্জে তৃতীয় দিনের মতো চলছে পরিবহন ধর্মঘট। সরকারি বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি নিয়ে যেতে প্রশাসনের বাধা ও সিএনজিচালিত অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবিতে গত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
শুক্রবার সকাল থেকে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো দূরপাল্লার বাস। ধর্মঘটের অজুহাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনার ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রীদের।
কলেজ ছাত্রী লিজু জানান, জরুরি কাজে সিলেট থেকে বাড়িতে এসেছিলাম। কাজ শেষ করে এখন সিলেট যেতে পারছি না। পরিবহন শ্রমিকদের কাছে আমি আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। তাদের ইচ্ছে হলেই যেকোন ছোট খাটো বিষয় নিয়েই তারা ধর্মঘটের ডাক দিয়ে দেয়।
আব্দুল হান্নান নামে এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। একটি গার্মেন্টস এ কাজ করি ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসছি। ছুটি শেষ করে ঢাকা যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে আসছি এখন দেখি এখান থেকে কোন ধরনের বাস চলবে না। তাদের নাকি পরিবহন ধর্মঘট চলতেছে। এই ধর্মঘটে আমরা শেষ। এখন অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেতে হবে।
হবিগঞ্জ মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায় জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই ধর্মঘট চলমান থাকবে। প্রশাসনের সাথে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের আলোচনা হয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় হবিগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় সালামতপুরে নির্মিত সরকারি বাস টার্মিনালে বাসগুলোকে যেতে দিচ্ছে না। উপজেলা শহরে যানজটের অজুহাতে তারা টার্মিনালে বাস যেতে দেয় না। গত বুধবার হঠাৎ গাড়িগুলো আটকে দিয়ে জরিমানা করেছে। অথচ অবৈধ নসিমন, করিমন, ইজিবাইক শহরে যানজট সৃষ্টি করলেও সেগুলো বন্ধ করা হচ্ছে না। একারণে শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলার সব গণপরিবহন বন্ধ রাখার ডাক দেয়।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ