নওগাঁর সাপাহারে ৫৯ বস্তা বিএডিসির সার ভিন্ন উপজেলায় নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করেছে স্থানীয়রা। খরব পেয়ে সারগুলো উদ্ধার করে জব্দ করেছে উপজেলা কৃষি অধিদফতর।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা গোডাউন পাড়া মোড় এলাকা থেকে বিএডিসির ইউরিয়া ২১ বস্তা, ডিএপি ১০ বস্তা ও এমওপি ২৮ বস্তা সার আটক করে স্থানীয়রা। পরে খরব পেয়ে সারগুলো জব্দ করেন উপজেলা কৃষি অধিদফতর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সার ডিলার মেসার্স সাগর ট্রেডার্স, মেসার্স রাব্বানী ট্রেডার্স, মেসার্স লাকি বীজ ভান্ডার ট্রেডার্স, মেসার্স মঙ্গল ট্রেডার্স ও মেসার্স লিপ্টন সাহা ট্রেডার্স হতে অসাধু উপায়ে ৫৯ বস্তা সার পার্শ্ববর্তী পত্নীতলা উপজেলার বিভিন্ন দোকান ও কৃষকদের উদ্দেশ্যে ব্যাটারি চালিত অটো এবং ভ্যান গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। সাপাহার উপজেলা শেষ সীমান্তের দিকে সারের গাড়িগুলো যেতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এ সময় স্থানীয়রা সারবাহী গাড়িগুলো আটক করে উপজেলা কৃষি অধিদফতরকে জানায়। খবর পেয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান টকি ও উপ-সহকারী উদ্ভিত সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান ঘটনাস্থল হতে ৫৯ বস্তা সার জব্দ করে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সার থাকা সত্ত্বেও চাহিদা মতো সার পাচ্ছে না এ উপজেলার কৃষকরা। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার কিছু অসাধু সার ডিলাররা অতিরিক্ত মূল্যে পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে সার বিক্রি করে আসছে। আজ হাতেনাতে ধরা হয়েছে ৫৯ বস্তা সার। জড়িত ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ সার ব্যবস্থাপনায় নরজদারি বাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান টকি বলেন, আপাতত সারগুলো জব্দ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় না থাকায় এখুনি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে, ইউএনও মহোদয় আসলে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ