ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল বিশ্বকাপ : উৎসবের আমেজে রঙিন গোয়ালন্দ

প্রকাশনার সময়: ১৭ নভেম্বর ২০২২, ১৮:৫৭

ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে বাংলাদেশি ফুটবল প্রেমিদের মধ্যে উত্তেজনার শেষ নেই। খেলাকে কেন্দ্র করে ভক্তদের মধ্যে চলছে নানা আয়োজন, উল্লাস ও উৎসব। কেউ দীর্ঘ পতাকা বানিয়ে রেকর্ড করছে। এদিকে কেউ পুরো বাড়ি প্রিয় দেশের রঙে রাঙাচ্ছে। কেউ আবার ভক্তদের মধ্যে বিনা মূল্যে জার্সি ও পতাকা বিতরণ করছে। কয়েকজন তো প্রিয় দলের খেলার দিন ডেগ ভর্তি বিরিয়ানি-খিচুড়ির আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছে।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের আনাচে-কানাচে বিশ্বকাপের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে পতাকা বেচাকেনার হিড়িক। চায়ের কাপের টুং টাং শব্দে ঝড় উঠছে প্রিয় দলের কীর্তি নিয়ে। কিশোরের মুখে খই ফুটছে প্রিয় খেলোয়াড়ের অর্জনের গুণগান সম্পর্কে। পাড়ার মুরুব্বি লোকটাও পিছিয়ে নেই বিশ্বকাপের আলাপে। নাতিকে পেলেই জিজ্ঞেস করছেন, ‘এই, অমুক দলের খেলাটা কোন দিনরে। অমুক খেলোয়াড় কি এবার খেলবে? আমাদের সময় খেলার দিন কি যে মজা হতো?’

গোয়ালন্দের আকাশে উড়ছে বিভিন্ন দেশের পতাকা। রাস্তায় প্রিয় দলের জার্সি পড়ে হেঁটে যায় তরুণের দল। তবে চোখে পড়ে বেশি আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের পতাকা ও জার্সি। ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি ও আরেক জাদুকর খেলোয়াড় নেইমারের ছবি ও জার্সি নম্বর সংবলিত পোশাকই মানুষের গায়ে বেশি দেখা যায়। এছাড়া জার্মান, স্পেন, ইংল‍্যান্ড, ফ্রান্সসহ অন‍্যান‍্য দেশের পতাকাও কিনছে অনেকে।

কিশোরগঞ্জ থেকে সুদূর রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটের ঢাকা-খুলনা সড়কের দৌলতদিয়া তেলের পাম্প এলাকায় ফেরি করে ইবরাহিম নামের মাঝ বয়সি এক যুবক। আর একটু সামনে দৌলতদিয়া সাইনবোর্ড এলাকায় দেখা হয় মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার চর বাচামারা বাবলাতলা গ্রামের সোহাগ খানের সঙ্গে। তিনিও পতাকা বিক্রি করেন। বললেন, ‘সারাদেশেই প্রতিবছর বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে পতাকা বিক্রি করি। এবার ফুটবল বিশ্বকাপে পতাকা বেচে আনন্দ লাগছে। প্রিয় দেশের পতাকা কেনার হিড়িক লেগেছে দেশে। দু-চার টাকা বেশি বিক্রির আশায় মাদারীপুর শিবচর থানা থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এলকায় চলে এসেছি।’

‘রাজবাড়ী জেলার বেশিরভাগ মানুষ ফুটবল খেলাকে ভালোবাসে বলেই এখানে পতাকাও বিক্রি হয় বেশি। এজন্যই নিজের এলাকা ছেড়ে এখানে এসেছি পতাকা বিক্রি করতে। পতাকা বিক্রি করে মোটামুটি ভালোই আয় হয়।’ বললেন ইবরাহিম।

পতাকা ক্রয় করে গন্তব্যে ফিরছেন মো. শরীফ হোসাইন ও বিকাশ দত্ত। কথা বলি তাদের সঙ্গে। বললেন, ‘বিশ্বকাপ খেলার আর বাকি তিন দিন। তাই আমাদের প্রিয়দলের পতাকা কিনে নিলাম।’

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ