ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শ্রমিকদের সংঘর্ষে বন্ধ বাস চলাচল, ভোগান্তি যাত্রীদের

প্রকাশনার সময়: ১৬ নভেম্বর ২০২২, ২১:১৮

ঢাকা-মাওয়া-লৌহজং-বালিগাঁও সড়কে চলাচলরত গাঙচিল পরিবহন ও ইলিশ পরিবহনের শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পরিবহনের মালিক-শ্রমিকেরা পরস্পরকে দোষারোপ করে বাস বন্ধ রেখেছে। খবর পেয়ে লৌহজং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিবেশ শান্ত হয়। তবে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ওই সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এই দিকে সারাদিন দুইটি পরিবহন বন্ধ থাকার কারণে লৌহজং, টঙ্গীবাড়ি ও আশপাশের এলাকার সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

ইলিশ পরিবহনের যাত্রী মো. আসাদুজ্জামান জানান, বুধবার সকাল ৮টায় লৌহজংয়ের খেতের পাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ইলিশ পরিবহনের একটি বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এই পরিবহনের আগে পরে আরও দুটি গাঙচিল পরিবহন ঢাকার দিকে রওয়ানা দেয়। এতে মালির অংক স্ট্যান্ডে ইলিশ পরিবহনের যাত্রীদের উঠতে বাধাগ্রস্ত করে। এক পর্যায়ে ইলিশ পরিবহনের যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গাঙচিল পরিবহনের এক সহকারীকে মারধর করে। এরপর গাঙচিল পরিবহনটি মালির অংক বাজারে এসে সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে দুই পরিবহনের শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।

এ ঘটনায় উভয় পক্ষ লৌহজং থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন। ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, ইলিশ পরিবহন ও গাঙচিল পরিবহনের মালিকেরা কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। শুধু মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।

ইলিশ পরিবহনের সভাপতি মো. আলী আকবর শেখ বলেন, ইলিশ পরিবহন চলাচলে গাঙচিল পরিবহন বরাবর বাধা প্রদান করে আসছে। খেতের পাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ইলিশ পরিবহনটি ছেড়ে গেলে গাড়িটির আগে পরে দুটি গাঙচিল গাড়ি ছেড়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। তিনি আরও জানান, গাঙচিল পরিবহনের শ্রমিক-মালিকেরা কখনই চায়নি এ সড়কে অন্য আরেকটি পরিবহন চলাচল করুক।

গাঙচিল পরিবহনের সভাপতি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সংঘর্ষের জন্য ইলিশ পরিবহনের স্টাফরা দায়ী। তারা বিনা কারণে আমাদের বাসের শ্রমিকদের মারধর করেছে। তবে তিনি স্বীকার করে জানান, ইলিশ পরিবহন এ সড়কে আসায় আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে এ সড়কে ইলিশ পরিবহনের বাস চালু হওয়ায় স্থানীয় যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে। গাঙচিল পরিবহন ৩০ বছর ধরে এ সড়কে আধিপত্য চালিয়ে আসছে। তাদের স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ উপজেলাবাসী। প্রতিযোগিতা না থাকায় ভোগান্তির অপর নাম হয়ে উঠেছিল গাঙচিল পরিবহন।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ