ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কক্সবাজারে ৪ ইয়াবা কারবারির মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশনার সময়: ১৬ নভেম্বর ২০২২, ১৯:০০

কক্সবাজারে ১৩ লাখ ইয়াবা পাচারের দায়ে এক রোহিঙ্গাসহ ৪ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিতরা হলো- কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-১৩ এর ব্লক-এইস-১৬ এর মো. বশির আহমদ ও আয়েশা খাতুনের পুত্র মো. আয়াজ (৩৪), কক্সবাজার সদর ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউজ দক্ষিণ হাজীপাড়ার মৃত আবদুল মজিদ ও মোছা. মোস্তফা খাতুনের পুত্র আবুল কালাম (৩৭), খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ির পঞ্চরাম পাড়ার মকবুল আহমদ ও সোনা মেহেরের পুত্র আজিমুল্লাহ (৪৩) এবং একই এলাকার ফয়জুল হক ও ছেহেরা খাতুনের পুত্র আবুল কালাম (৩৭)।

রায় ঘোষণার সময় দন্ডিতরা সকলে আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্র পক্ষের আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট রাত ৭ টা ৫ মিনিটের দিকে র‍্যাব-১৫ এর একটি টিম এক অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাটে খুরুস্কুল ব্রিজের উত্তর পাশে, রাস্তার পশ্চিম পাশে একটি ফিশিং বোট আটক করে। একই সঙ্গে ফিশিং বোটে থাকা মো. আয়াজ ও মো. বিল্লালকে গ্রেফতার করে। তখন র‍্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও ৪ থেকে ৫ জন লোক দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ফিশিং বোট তল্লাশি করে ১৩ লাখ ইয়াবা টেবলেট, ১০ হাজার হাজার নগদ টাকা উদ্ধার এবং ফিশিং বোটটি জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় র‍্যাব-১৫ এর নায়েব সুবেদার মো. হারুনর রশীদ বাদী হয়ে উল্লেখিত ২ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(গ)/৩৮/৪১ ধারায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার ঘটনাস্থল থেকে আটক আসামি মো. আয়াজ ও মো. বিল্লাল তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী প্রদান করে। তারা জবানবন্দিতে পলাতক আসামি আজিমুল্লাহ ও আবুল কালামের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ এর এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলাটির চার্জশিট প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে মামলার চার আসামির সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই আদালত সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। এই রায়ের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/এফআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ