চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে. এম. সালাহউদ্দীনকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় তিনি বাঁশখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এছাড়া একই মোবাইল নম্বর থেকে আরও দুই ইউপি সদস্যকেও হত্যার হুমকি প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দুই ইউপি সদস্য হচ্ছেন মো. আব্দুল হামিদ ও মো. দেলোয়ার হোসেন।
ইউপি সদস্য দেলোয়ার বলেন, আমরা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যান সালাউদ্দীন কামালের নেতৃত্বে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। এলাকায় মাদক নির্মূলে জান প্রাণ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের এসব কর্মকাণ্ড সারাদেশ ব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। এতে মাদকসেবীরা আমাদের মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। যতই হুমকি-ধামকি আসুক না কেন। আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব।
এ বিষয়ে সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে. এম. সালাহউদ্দীন কামাল বলেন, গত ১০ এবং ১১ নভেম্বর তার ব্যক্তিগত দুটি নম্বরে অজ্ঞাত একটি মোবাইল নম্বর থেকে কল করে সন্ত্রসীরা বলেন, ‘আগামী ৬ মাসের মধ্যে তোমাকে হত্যা করা হবে। ইতোপূর্বে যারা চেয়ারম্যান ছিলেন তারা আমাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তুমি মাদকসহ এলাকার সব বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করছ। তোমাকে মেরে টুকরো টুকরো করব’।
তিনি আরও বলেন, হুমকি ও হামলার আশঙ্কায় অক্টোবর মাসে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি আমি প্রশাসনকে অবহিত করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এলাকায় অনেক প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। বিশেষ করে মাদক নির্মূলে তিনি এলাকায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। তাকে হুমকি প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইউপি চেয়ারম্যানের কর্মতৎপরতায় ইতোমধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে সাধনপুর ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলায় শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন নির্বাচিত হয়েছেন। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত সাধনপুর গড়তে তিনি এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রেখেছেন।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ