ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন টাঙ্গাব ইউনিয়ন থেকে অপহৃত এক স্কুলছাত্রকে ৩ মাস ২৫ দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর জেলখানা মোড় এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। এ সময় অপহরণ মামলার প্রধান আসামি শরমিতাকে (২৮) গ্রেফতার করে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া স্কুল ছাত্রের নাম শান্ত মিয়া (১৪)। সে টাংগাব ইউনিয়নের বাশিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আতাউর রহমান কাজলের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে উদ্ধার হওয়া শান্ত’র জবানবন্দি গ্রহণের জন্য ময়মনসিংহ জেলা আদালতে ও প্রধান আসামি শমরিতাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠিয়েছে পাগলা থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ছেলেটি দত্তেরবাজার ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। গত ২২ জুলাই সকালে টাঙ্গাব ইউনিয়নের বামনখালি গ্রামের নানার বাড়ি থেকে বাঁশিয়া গ্রামে নিজেদের বাড়িতে আসার সময় শান্ত অপহরণের শিকার হয়। এ ঘটনায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে তার খোঁজখবর করেন। এ ঘটনায় গত ২৩ জুলাই পাগলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে তার মা।
এরপর কয়েকদিন কেটে গেলেও ছেলেও সন্ধান না পেয়ে গত ২৮ জুলাই ময়মনসিংহ জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত জাহান চৌধুরীর ৭ নং আমলী আদালতে সে নালিশী দরখাস্ত করেন। গত ৪ আগষ্ট আদালত দরখাস্তটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে মামলা রুজু করার জন্য পাগলা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। পরে গত ৯ আগষ্ট বাঁশিয়া গ্রামের খোকা মিয়া, তার মেয়ে শরমিতা (২৮) ও পাশ্ববর্তী বিরই গ্রামের হাবিবুর রহমান (৪০) ও অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামি করে পাগলা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের হয়।
মামলার প্রধান আসামি শরমিতা স্বামী পরিত্যক্তা ও তার তিনটি বিয়ে হয়েছে। শরমিতার পিতা বাঁশিয়া গ্রামের খোকা মিয়া গ্রাম পুলিশের চাকুরি করেন।
স্কুলছাত্র শান্ত’র মা শিরিনা আক্তার জানান, শান্ত তার নানার বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে নিজ বাড়িতে আসার সময় রাস্তায় শরমিতা ও তার সহযোগিরা শান্তকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অপহৃত শান্তকে উদ্ধার ও মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ