কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদী ‘আল-ইয়াকিন’ গ্রুপের সঙ্গে র্যাব সদস্যদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিতে র্যাবের এক সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কোনাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই রিপন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১০টার দিকে গুলিবিদ্ধ এক র্যাব সদস্যকে সদর হাসপাতালে আনা হয়। তবে তার নাম তিনি জানাতে পারেননি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সূত্র জানান, শূন্যরেখায় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আল ইয়াকিন বাহিনীর সঙ্গে র্যাব সদস্যদের গোলাগুলি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তে চোরাচালানরোধে অভিযান পরিচালনা করতে কক্সবাজারের র্যাব-১৫ এর সদস্যরা সেখানে মিয়ানমার সীমান্তে অভিযান চালান। এ সময় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আল ইয়াকিন বাহিনীর সদস্যরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
এদিকে রাত ১০ টার দিকে গুলিবিদ্ধ একজন র্যাব সদস্যকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার নাম সোহেল বড়ুয়া।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘুমধুম ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘কোনারপাড়া এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে কাদের মধ্যে এ গোলাগুলি হয়েছে তা এখনও বলতে পারছি না। বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে জানানো যাবে।’
ঘটনার বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ডিউটি অফিসার এএসআই জয়দেব বলেন, কোনাপাড়া এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে কাদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে৷ তবে ঠিক কতজন আহত বা নিহত হয়েছে সেই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে কোন কিছু জানানো হয়নি।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ