ময়মনসিংহের ত্রিশালে সরকার কর্তৃক পরিচালিত ওএমএসের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারীরা জানান, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চাল দেওয়ার কথা থাকলেও কিছু লোককে দিয়ে চাল নেই বলে ডিলার দোকানের দরজা বন্ধ করে রাখেন। একজনকে ৫ কেজি চাল দিয়ে ৪-৫ টিপসই নেন। প্রতিদিন লাইনে দাঁড়িয়েও চাল না পাওয়ার অভিযোগও করেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ১০ টায় পৌর এলাকার ওএমএস চাল ডিলার রতন মিয়ার দোকানের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দরজার সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন অনেক মহিলা ও পুরুষ। সবাই নিতে এসছেন ৩০ টাকা কেজির চাল। সাংবাদিক দেখে ভুক্তভোগী অনেক মহিলায় এগিয়ে আসেন কথা বলতে। শুরু হয় একসাথে অনেকের অভিযোগের কথা বলা।
অভিযোগকারীরা বলছেন, ডিলারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে চাল শেষ। আপনারা চলে যান। বাহিরে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে ভেতর থেকে খোলা হয় দরজা। ডিলারের দোকানে থাকা রাজিব ঘোষ দরজা খুলে তিনি লাইনে দাঁড়ানো মানুষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সাংবাদিকদের বলেছেন চাল শেষ। আপনারা লাইনে দাঁড়ান চাল দিবো। দরজা বন্ধ কেন, চাল শেষ কিনা? জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, চাল আছে। লাইনে দাঁড়ানো একেকজন বারবার চাল নিতে আসে তাই দরজা বন্ধ করে রেখেছিলাম। একজন একবার নিলে অনেক লোকে চাল পায়।
এসময় উপস্থিত মহিলারা বলেন, আমরা প্রতিদিন আসি তারা চাল নাই বলে চলে যেতে বলে। আপনারা আসছেন দেখে চাল দিতেছে। আপনারা একটু থাকেন তাহলে আমরা চাল পাবো। আপনারা চলে গেলে আবার দরজা বন্ধ করে দিবে।
এ বিষয়ে ওএমএস চাল ডিলার রতন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন ১ টন চাল পাই। আমার এখানে মানুষের চাপ বেশি থাকায় চাল শেষ হয়ে যায়। আমি সঠিক ভাবেই চাল বিতরণ করছি। কোন অনিয়ম করি নাই।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইলিয়াস আহমেদ বলেন, পৌর এলাকায় চারটি ওএমএস চাল ডিলার রয়েছে। চাল বিতরণে একজন ট্রেগ অফিসার নিয়োগ করা আছে। তবে তারাও সার্বক্ষণিক থাকতে পারছেনা। আমার পরীক্ষার ডিউটি থাকার কারণে তদারকি করতে পারছিনা। তবে আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তাদের নোটিশ দিবো। ইউএনও স্যার বলেছেন, ডিলারের না পোষালে তারা বাদ দিবে। চাল নিয়ে কোন অনিয়ম হলে ডিলারের লাইসেন্স বাদ করে নতুন ডিলার নিয়োগ দিতে। এ ব্যাপারে স্যারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ