৬ বছরের ছোট্ট শিশু আপন ভাতিজা নাঈমকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর খুন খুন বলে নিজেই চিৎকার শুরু করেন ঘাতক চাচা আব্দুল বারেক (৩৬)। ঘাতকের চিৎকার শুনে নিহতের মাসহ বাড়ির লোকজন ছুটে এসে দেখেন নাঈমের নিথর দেহ পরে আছে ঘরের মেঝেতে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের দেবসহান গ্রামে। নিহত শিশু নাঈম ওই গ্রামের নুরুল ইসলাম ওরফে কাদিরের ছেলে নাঈম।
জানা যায়, উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের দেবসহান গ্রামে মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে আব্দুল বারেক (৩৬) পনের বছর ধরে পাগল। এ অবস্থায় তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে হতো সবসময়। গত তিন মাস আগে শিকল কেটে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় বারেক। পরে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাতে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।
শনিবার দুপুরে আব্দুল বারেকের ভাবি তাকে দুপুরের খাবার ভাত দিয়ে টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যান। ওই সময় তার পাশে থাকা ভাতিজা নাঈমকে (৬) বটি দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। পরে নিজেই খুন খুন বলে চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে নিহতের মাসহ বাড়ির লোকজন যতক্ষণে ছুটে ততক্ষনে নিথর হয়ে পরে নাঈমের ছোট্ট দেহ।
এরপর এলাকার লোকজন পাগল ঘাতক আব্দুল বারেককে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে ও ঘাতক আব্দুল বারেককে গ্রেফতার করে।নিহত শিশু নাঈমের বাবা নুরুল ইসলাম কাদির বলেন, এই পাগল আমার আদরের সন্তানকে কুপিয়ে মেরে আমার সব শেষ করে দিয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ঘাতক চাচাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ