ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উস্কানির ঘটনায় নড়াইলের দুই কলেজের দু’শিক্ষককে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) যশোর বোর্ডে তলব করা করা হয়েছে। এ প্রশ্নের ৪ জন মডারেটরের মধ্যে দু’জন মডারেটর ছিলেন নড়াইলের ২ কলেজের শিক্ষক।
তারা হলেন- মডারেটর নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন ও নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ। এছাড়া প্রশ্নপ্রণেতা হলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল।
নড়াইল মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ’র অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক যিনি এ প্রশ্নপত্রের মডারেটর ছিলেন। বোর্ড থেকে কোনো নির্দেশনা আসলে সে অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ নেব।
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে উস্কানিমূলক প্রশ্নের অভিযোগে যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কেএম রব্বানীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) যশোর বোর্ড কর্তৃপক্ষ নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওনসহ দু’শিক্ষককে ডেকেছেন। বোর্ড থেকে কোনো ধরনের নির্দেশনা আসে, তাহলে সে অনুযায়ী আমরা কাজ করব।
প্রসঙ্গত, রোববার (৬ নভেম্বর) সারাদেশে এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডেও বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্রের ১১ নম্বর প্রশ্নের উদ্দীপকে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় প্রশ্ন করা হয়, যা ছিল অত্যন্ত বিতর্কিত। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্ন যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মডারেট করা হয়েছিল।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ