ময়মনসিংহের ফুলপুরে জমিতে বিরোধের জেরে নুরুল ইসলাম পাঠান খুনের প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ময়মনসিংহ জেলা।
গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে গাজিপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআই ময়মনসিংহ জেলার এসপি মো. রকিবুল আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. আজমান আলী পাঠান ও তার ছেলে মো. মুঞ্জুরুল হক।
জানা যায়, ফুলপুর উপজেলার বনোয়াকান্দা গ্রামে ভিকটিম নুরুল ইসলাম পাঠান সোমবার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জমিতে বেড়া দিতে গেলে তার চাচা আজমান আলী পাঠান, তার ছেলে মঞ্জুরুল পাঠান এবং ভাতিজা আনোয়ার পাঠান তাকে বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা তাকে মারপিট করতে থাকে। এতে নুরুল ইসলাম পাঠান গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নুরুল ইসলাম সম্পর্কে আসামি আজমানের ভাতিজা। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মাহমুদুল হাসান পাঠান বাদী হয়ে আজমান আলী পাঠান ও তার পুত্র মুঞ্জুরুল হকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ফুলপুর থানায় মামলা করেন।
জানা গেছে, মামলার পর পিবিআই অ্যাডিশনাল আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএমের তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই ময়মনসিংহ ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তারের সার্বিক সহযোগিতায় পিবিআই ময়মনসিংহ জেলার চৌকস টিম উক্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। পিবিআই ময়মনসিংহ টিম ছায়া তদন্তকালে গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুর শহর থেকে তাদের গ্রেফতার করেন।
এসপি মো. রকিবুল আক্তার বলেন, পিবিআই ময়মনসিংহ জেলা চাঞ্চল্যকর ও নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিদ্বয়কে গ্রেফতার করেছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে মামলাটি পিবিআই কর্তৃক অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পিবিআই ময়মনসিংহ জেলার সকল অফিসার ও ফোর্সের অক্লান্ত প্রচেষ্টায়, পিবিআই গাজীপুর ও পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সের সহযোগিতায় মাত্র ১৮ ঘণ্টার মধ্যে মূল আসামিদ্বয়কে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ