ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত : স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

প্রকাশনার সময়: ০৮ নভেম্বর ২০২২, ২০:৫৭

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জিনিসপত্রের দাম বাড়ায়নি। যুদ্ধের কারণে দাম বাড়ছে জিনিসপত্রের। রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে তেল ও শস্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় ও করোনার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। খাবারের অভাব যাতে না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী উৎপাদন বাড়াতে বলেছেন। বিএনপি এসব নিয়েও পানি ঘোলা করছে। কোনো দেশে এমন সময় কেউ সরকারের বিরুদ্ধাচারণ করে না। অথচ তারা মিথ্যাচার করেই চলেছে। তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত। বিএনপি-জামায়াতের এটা চিরদিনের স্বভাব।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা-খাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী স্বাস্থ্যখাতে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জবাবে বলেন, দেশে স্বাস্থ্যখাতে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ পদে জনবল সংকট রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির সময় আমরা ১৫ হাজার চিকিৎসক, ২৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। অথচ ৪০ বছরে ডাক্তার ছিল মাত্র ১৮ হাজার, নার্স ছিল ২০ হাজার। করোনা পরিস্থিতি ও ডেঙ্গু সামাল দিয়ে আমরা এখন স্বাস্থ্যখাতের জনবল সংকট নিয়ে কাজ করছি। আমরা কমিটিও তৈরি করেছি। এখন করোনা যেহেতু কম আছে আমরাই বিভিন্ন উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছি, যাতে আমাদের হাসপাতালগুলো ভালোভাবে চলে। মেশিনগুলো যাতে সচল থাকে সেটাও দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এটা সত্যি যে, আমাদের মেশিনগুলো বেশি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে আর পাশের প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোর এক্সরে বা প্যাথোলজিক্যাল মেশিনগুলো ভালো চলে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। সরকারতো কম দিচ্ছে না। জেলা হাসপাতালগুলোতে দেখবেন আমরা কি করেছি। বিএনপির আমলে মেডিকেল কলেজ ছিল হাতেগোনা ১৫টা, এখন ৩৮ টা। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ও ছিল না বিএনপির আমলে, এখন ৪টা। ক্যান্সার কিডনি ,হার্টের স্পেশাল হাসপাতাল হচ্ছে। কারণ এসব রোগী বেড়ে গেছে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। স্বাস্থ্যখাতে জনবল সংকট রয়েছে আমরা তা বুঝি। মন্ত্রীর কাছে আমি অনুরোধ করব, আমাদের যে জনবলের কাঠামোই আছে তা যদি আমরা ঠিকমতো কাজ করাতে পারি তাহলে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়তো। বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ায় অনেক টাকা আমাদের বিদেশে চলে যাচ্ছে। এটা ঠেকানো যায়নি। দুপুর হলেই ডাক্তাররা বেসরকারি ক্লিনিকে চলে যায়, অনেক দেশেই এগুলো নাই।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হামিদ, পরিবার পরিকল্পনা ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক যুগ্ন-সচিব মো. মাহাবুব আলম, স্বাস্থ্য বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিয়া, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সামিউল ইসলাম সাদিক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী গোলাম মাহাবুব, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম (বিপিএম বার, পিপিএম), শিবচর ডায়াবেটিক সমিতির চেয়ারম্যান রাজিয়া চৌধুরী, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আ. লতিফ মোল্লা, পৌর মেয়র মো. আওলাদ হোসেন খান, মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মুনির আহমেদ খান, মাদারীপুর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মো. আজম, মাদারীপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিবুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাজাহান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম প্রমুখ।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ