মুন্সীগঞ্জে নিজের মাদরাসা পড়ুয়া কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বপন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (৭ নভেম্বর) রাতে পৌরসভার হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা করা হয়েছে এবং নির্যাতিত কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. তারিকুজ্জামান।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ মাস আগে ভোক্তভোগী কিশোরীর মা-বাবার মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে রেখে মা বিদেশে চলে যায়। মা চলে যাওয়ার পর ওই কিশোরী তার দাদির বাসায় থাকতে শুরু করে। কিছুদিন আগে মেয়েকে নিয়ে মুন্সীগঞ্জ শহরের হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় চলে আসে বাবা। সেই ভাড়া বাসায় জোরপূর্বক মেয়েক ধর্ষণ করে বাবা স্বপন। বাবার এমন নির্যাতনে টিকতে না পেরে বাড়ির মালিককে জানালে বাবা ও মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দেন মালিক।

কিশোরী এসে নানিকে ঘটনা শোনায়। নানি ঘটনা শোনার পর কিশোরীকে তার বাসায় আসতে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে ওই কিশোরী উপায় না পেয়ে বাবার বন্ধুর মেয়ের কাছে জানায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের সহায়তায় ওই কিশোরী মুন্সীগঞ্জ থানায় বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. তারিকুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কিশোরীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বাবাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। আটককৃত স্বপনকে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

নয়া শতাব্দী/আরআর