ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নড়াইলে বিদ্যালয়ের সভাপতি’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ০৭ নভেম্বর ২০২২, ১৭:৩৩

নড়াইল সদর উপজেলার কালুখালি ধাড়িয়াঘাটা মাগুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে, স্থানীয় একটি দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসী চক্র কালুখালি ধাড়িয়াঘাটা মাগুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন সাগর’র বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে চলেছে। ওই কুচক্রী মহল নিজেদের ইচ্ছামত এ বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে অবৈধ অর্থ বাণিজ্য করতে না পেরে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।

সম্প্রতি এ বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নৈশপ্রহরী ও আয়া (চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী) পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। যথাযথ নিয়ম মেনে স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার পর নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড ২৩ প্রার্থীর মধ্যে ৩জনকে উক্ত ৩টি পদের জন্য চুড়ান্ত করেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তাদের নিয়োগ প্রত্র দেন। তাদের যোগদান করার আগেই এ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ইলিয়াস সিকদার ও ইকবল হোসেন নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলা করার জন্য তাদের উৎসাহ দেন বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন ও সাবেক বিদ্যুৎসাহী সদস্য তাজলু মোল্যা। এ দুষ্টু চক্রের হোতা ধাড়িয়াঘাটা গ্রামের খালেদুর রহমান। চিহ্নিত প্রতারক খালেদুর নানা কুটকৌশলে ওই চক্রকে সহায়তা করে আসছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন সাগর ক্ষোভের সাথে জানান, ওই দুষ্টু চক্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে হেরে গিয়ে নানা ভাবে বিদ্যালয়ের সাথে শত্রুতা করে আসছে। বিদ্যালয়ের জায়গায় লাগানো চারাগাছ ভেঙ্গে ও উপড়ে ফেলেছে। বিদ্যালয়ের জানালা দরজা ও আসবাবপত্র ভেঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি করেছে। সম্প্রতি চতুর্থ শ্রেণির ৩ কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলে ওই চক্র চাকরি দেয়ার নামে মাগুরা গ্রামের কামরুলের নিকট হতে মোটা অংকের ঘুষ নেন। চাকরি দিতে ব্যর্থ হলে কামরুল ওই টাকার জন্য চাপ দেয়। এ ঘটনার পর তারা নানা ভাবে বিদ্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতি করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে এবং নিয়োগ বোর্ডে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের নামে নানা ভাবে অপপ্রচার চালিয়ে বিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে জানান, সভাপতি’র ছেলে ও প্রধান শিক্ষকের ভাতিজা চাকরির জন্য আবেদন করায় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক দুর্নীতিবাজ হওয়ায় তার বিরূদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান তারা। সভাপতি’র ছেলে ও প্রধান শিক্ষকের ভাতিজার চাকরি না হওয়ার পরও কেন সভাপতি ও বিদ্যালয়ের বিরূদ্ধে অপপ্রচার করছেন ? এমন প্রশ্নে তারা নিরব থাকেন।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন সাগর জানান, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন, সাবেক বিদ্যুৎসাহি তাজলু মোল্যা, বর্তমান সদস্য ইলিয়াস ও ইকবল অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির সুবিধাবাদি মানুষ। তারা নিজেদের স্বার্থে যে কোন অপকর্ম করতে পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে তারা নোংরা রাজনীতি ও অপপ্রচার করছে। তারা এসব অপকর্ম থেকে বিরত না হলে তাদের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ