জামালপুরে সরিষাবাড়ীর ঝিনাই নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে একরের পর একর ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে। এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারণে প্রায় দুইমাসেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
সোমবার (৭ নভেম্বর) উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের ধারাবর্ষা ও খাস কোম্পানি এলাকার মাঝামাঝি ভাটারা ইউনিয়নের পারপাড়া ঝিনাই নদীতে সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে। প্রতিকার না পেয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
সরেজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, ধারাবর্ষা বাজার থেকে উত্তরদিকে ধারাবর্ষা ও খাস কোম্পানির মাঝামাঝি ভাটারা মৌজার পারপাড়া ঝিনাই নদীতে প্রায় দুইমাস ধরে প্রকাশ্যে বালু বিক্রি চলছে। প্রতিদিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে এ ড্রেজিং। এতে একরের পর একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার মিলেনি।
স্থানীয় কৃষক আলাল, ফারুক, আজগর, বাবলু, রফিকুলসহ অভিযোগ কারীরা জানান, ধারাবর্ষা গ্রামের আজিজুল আকন্দের ছেলে ছানু মিয়া ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন এবং পারপাড়া গ্রামের আফসার মণ্ডলের ছেলে করিম মেম্বার সেসব বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
পাশের সৈয়দপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক লালু মিয়া জানান, ড্রেজার মেশিনের পাশেই তাদের ছয় ভাইয়ের দেড় একর জমি রয়েছে। জমি গুলোতে বর্তমানে আলুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফসল আবাদ করা হয়েছে। কিন্তু বালু উত্তোলনের ফলে অধিকাংশ জমি নদীগর্ভে চলে গেছে, বাকি জমিও হারানোর পথে।
কান্দারপাড়া গ্রামের কৃষক মজনু মিয়া জানান, বালু উত্তোলনের ফলে তার ৭৮ শতক জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করেন, উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নদীখেকোরা অবৈধ বালু উত্তোলন করায় লিখিত অভিযোগের দুইমাস পার হলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা বলেন, বিষয়টি শুনে আমি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলাম। তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে, মেশিন বন্ধ আছে।
জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখবো।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ