আগামী ১১ নভেম্বরের পর সারাদেশের রাজপথ যুবলীগের দখলে থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, এখন যত খুশি মিছিল মিটিং করুন, আগামী ১১ নভেম্বরের পর টের পাবেন কত ধানে কত চাল।
শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরশ।
শেখ পরশ বলেন, ৫ বছর বয়সে বাবা-মা হারিয়েছি। ২১ বছর কোথাও বিচার চাইতে পারিনি। সেই বিভৎসতা এ দেশের মানুষ ভোলেনি। যুবলীগ সদস্যরা সকল ষড়যন্ত্র উৎখাত করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচনে আবারো রাষ্ট্রনায়ক নির্বাচিত করবেন।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশে হলে পরিবহন ধর্মঘট আওয়ামী লীগ দেয় না। এই ধর্মঘট দেন পরিবহন শ্রমিকরা। কারণ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানে বিএনপি অতীতে আন্দোলন-সমাবেশের নামে জ্বালাও পোড়াও করেছে, ভাঙচুর করেছে। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, ১৬৭ জন জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এ কারণে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা বিএনপির হামলা ভাঙচুরের ভয়ে পরিবহন ধর্মঘট দেন।
এ দিকে দীর্ঘ ২৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে রংপুর জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। রংপুর জিলা স্কুল মাঠে সকাল থেকেই যুবলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে মাঠে আসেন। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এক ডজন নেতা প্রার্থী হয়ে ফেস্টুন, পোস্টার, ব্যানার, তোরণ নির্মাণ করেছেন রংপুর নগরীসহ পুরো জেলায়।
সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।
সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শ্রী রমেশ চন্দ্র সেন, শাজাহান খান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সাবেক সংসদ সদস্য ও কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ