সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম. রুহুল হক (এমপি) বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৃষি, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, যাতায়াত ও যোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। খাদ্যে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে এক চিলতে জমিও যেন পড়ে না থাকে -সেজন্য কৃষি বিভাগকে ঢেলে সাজিয়েছে। দেশের কৃষিবিদরা নতুন নতুন জাত ও প্রযুক্তি আবিষ্কারের মাধ্যমে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছেন। এরপরও বিএনপি’র নেতাকর্মীরা দেশের উন্নয়ন চোখে দেখতে পায় না। ওরা দেখবে কীভাবে? ওরা তো দেশের উন্নয়ন চায় না। ওরা চায় নৈরাজ্য-নাশকতা চালিয়ে দেশের উন্নয়নকে ধ্বংস করতে।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল। শেখ হাসিনার সরকার কৃষিতে বিপ্লব এনেছেন বলেই আজ কৃষক বিনামূল্যে সার পায়, বিনামূল্যে বীজ পায়। শেখ হাসিনার সরকার প্রতিবছর কৃষকদের প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি দিচ্ছে। যা বিশ্বে বিরল।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিউক্লিয়ার প্লান্ট তৈরি করেছি। আগামী বছর থেকে তা চালু করা সম্ভব হবে। আমরা বিনামূল্যে বই দিচ্ছি। আমরা বিনামূল্যে সার ও বীজ দিচ্ছি। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছি। আমরা বিনামূল্যে জমি ও ঘর দিয়েছি। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি বলেই আজ বিশ্ববাসী আমাদের দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে।
বিশ্বের কোন দেশ আছে যেখানে বিনামূল্যে সরকার এসব দিতে পারে, প্রশ্ন রেখে অধ্যাপক ডাক্তার আ ফ ম রুহুল হক এমপি বলেন, আজ যখন আমরা উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছি ঠিক তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিশ্ব বাজারে যখন মন্দার টান তখন আমরা সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় শেখ হাসিনার সরকারের প্রশংসা আজ বিশ্বসভায়।
রুহুল হক বলেন, বিশ্ব বাজারে তেল সংকট, গ্যাস সংকট। যে কারণে আমরা তেল আনতে পারছি না। কিন্তু আমাদের যে সম্পদ আছে তা ব্যবহারে যেন মিতব্যয়ী হই। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী দেশবাসিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপি’র কোন ষড়যন্ত্রই বাংলাদেশের উন্নয়নকে ঠেকাতে পারবে না। দেশের জনগণ শান্তিপ্রিয়। দেশের মানুষ নৈরাজ্য-নাশকতা চায় না। দেশের মানুষ চায় শান্তি। সেই শান্তির পথে যেন কেউ কাঁটা ছড়াতে না পারে সেজন্য আগামী নির্বাচনে আবারও শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় আনবে দেশের জনগণ। কৃষক-শ্রমিক-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সবাই মিলে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের সৈনিক হিসেবে কাজ করবো, সেই অঙ্গীকার করতে হবে।
এর আগে সকাল ১১টায় জাতীয় সংগীত, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র চন্দ। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক (এমপি)। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি (এমপি)।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের সহ-সভাপতি শরিফ আশরাফ আলী, মাকসুদুল আলম, যুগ্ম-সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, অ্যাড. শামিমা আক্তার খানম, কৃষিবিদ ড. মোহা. হাবিবুর রহমান মোল্যা, মো. নূরে আলম সিদ্দীকি হক, নাজমুল ইসলাম পানু, মো. রেজাউল ইসলাম রেজা, মো. শাহিনুর রহমান, হালিমা রহমান, মো. নূরুল ইসলাম বাদশা, মাহফুজা আক্তার রুবি ও দিলিপ অধিকারী। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ