প্রায় ৭ বছর পর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সোমবার (৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন দুপুর ২টা থেকে সম্মেলন শুরু হবে। এই সম্মেলন সফল করতে দলের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
প্রস্তুত করা হচ্ছে সম্মেলনস্থল টাঙ্গাইল স্টেডিয়াম মাঠ। এদিকে এই সম্মেলনকে ঘিরে জেলা শহরসহ উপজেলাগুলোতে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। জেলা শহরের চারদিকে ব্যানার, ফেস্টুন ও সড়কে তোরণ নির্মাণের কাজ চলছে।
জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে চারিদিকে সাজ সাজ রব পড়েছে। এই সম্মেলনে লক্ষাধিক নেতাকর্মীর সমাগম হবে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান। সম্মেলনে কে হচ্ছেন সভাপতি, আর কে হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক- তা নিয়ে উত্তেজনা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
দলীয় নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পূর্নবহাল রেখে একটি শক্তিশালী গ্রহণযোগ্য জেলা কমিটি গঠন করা হোক।দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন, ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সফল ও সার্থক করতে ইতোমধ্যে উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে সম্মেলন সফল করার লক্ষে সকলকে একত্র হয়ে কাজ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শাহজান খান, আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এবং শিক্ষামন্ত্রী দিপু মণি।প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বিশেষ বক্তা হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, শিক্ষা ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সানজিদা খানম, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, ইকবাল হোসেন অপু এবং মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
সম্মেলন সঞ্চালনা করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য জোয়াহের ইসলাম জোয়াহের।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য জোয়াহের ইসলাম জোয়াহের বলেন, অতীতের চেয়ে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগ শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সবাই উজ্জীবিত। বিএনপির জ্বালাও পোড়াও রাজনীতিকে পরাহত করার লক্ষে এই সম্মেলন অত্যন্ত গতিশীল নির্মল ও স্বার্থক হবে। এই সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করবে। সম্মেলনে লক্ষাধিক মানুষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক সম্মেলনস্থল পরিদর্শন করে বলেন, বাংলাদেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামে টাঙ্গাইলের ভূমিকা ছিলো অসাধারণ। এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামে-গঞ্জে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। কর্মীদের মধ্যে অনেক উচ্ছ্বাস ও জাগরণ। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী, শামছুল হকের অনেক অবদান রয়েছে। সম্মেলনের মাধ্যমে টাঙ্গাইল আওয়ামী লীগ আরও সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল এবং শক্তিশালী হবে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্মেলন সারাদেশেই নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করবে।
গত ২০১৫ সালে ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ফজলুর রহমান খান ফারুককে সভাপতি ও জোয়াহের ইসলাম জোয়াহেরকে সাধারণ সম্পাদক করে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ