অ্যাপল কোম্পানিতে ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন মাহিন মাশরুর। স্থির লক্ষ, অদম্য চেষ্টা আর পরিশ্রমই মাহিনকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে।
একজন মাহিন মাশরুর
মাহিন মাশরুরের জন্ম ১৯৯৯ সালে, ঢাকার উত্তরায়। বাবা মোমিনুল আজম ও মা মাহমুদা আনোয়ার। পৈত্রিক বাড়ি গাইবান্ধার পলাশপাড়া ও সাদুল্লাপুরের ভাত গ্রামে। পড়াশোনার হাতেখড়ি উত্তরার ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন সেন্টারে। ক্লাস ফোরে পড়ার সময়ে মা-বাবার সঙ্গে কানাডা চলে যান। ২০১৮ সালে মাহিন ভর্তি হন কানাডার ওয়াটারলু ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে।
অ্যাপলের ইঞ্জিনিয়ার
চলতি বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষার সময় চাকরির জন্য আবেদন করেন ইলনমাস্কের টেসলা, স্পেসএক্স ও অ্যাপলসহ বিভিন্ন নামকরা প্রতিষ্ঠানে। এর মধ্যে অ্যাপল কোম্পানি থেকে ইন্টারভিউও’র জন্য ডাক পায় সে। অবশেষে গত ১৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপলের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরিটা পেয়ে যান মাহিন।
মা-বাবা ও বড় ভাই মুহিব মাশরুরের সঙ্গে মাহিন মাশরুর - ছবি - সংগৃহীত
স্বজনরা ভীষণ খুশি
মাহিনের সাফল্যে ভীষণ খুশি স্বজনরা। বাবা মোমিনুল আজম বলেন, ‘জীবনে যারা সফল হয়েছে, তারা কারো না কারো দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। সেই অনুপ্রেরণাদানকারী মানুষই তাদের কাছে রোল মডেল। সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় রোল মডেল হলেন, তার বাবা-মা। সন্তানের সামনে নিজেদের রোল মডেল হিসেবে তৈরি করে উপস্থাপন করতে হবে। তাহলে সন্তানও একদিন নিজেকে অন্যের রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবে।’
আইফোনের ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় ভীষণ খুশি তার স্বজনরা। মাহিনের বড় চাচা খায়রুল ইসলাম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট। বললেন, যে কোনো সফলতাই আনন্দের। তবে তার এমন আকাশছোঁয়া সাফল্যে দেশের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবাসে বাংলাদেশি মুদ্রায় বার্ষিক পৌনে দুই কোটি টাকা বেতন পাওয়াটাও একটা মাইলফলক। আমরা তাকে নিয়ে গর্বিত।’
মাহিনের মা-বাবা বিসিএস ক্যাডার
মাহিন মাশরুরের বাবা-মা দুজনেই বিসিএস ক্যাডার। তাদের পৈত্রিক নিবাস উত্তরের জেলা গাইবান্ধা সদরের পলাশপাড়া ও সাদুল্লাপুরের ভাত গ্রামে। বাবা মোমিনুল আজম চাকরি করতেন বিসিএস (ডাক বিভাগ) ক্যাডারে আর মা মাহমুদা আনোয়ার ছিলেন বিসিএস (কৃষি) ক্যাডার। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ২০১০ সালে পাড়ি জমান কানাডায়। মাহিনের বড় ভাই মুহিবও মেধাবী। মুহিব মাশরুর কানাডার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর মেডিকেল স্কুলে লেখাপড়া করছেন।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ