ভোলার লালমোহনে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী খাদিজা বেগম অপহরণের ৬দিন অতিবাহিত হলেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না ছাত্রীর মা। তাই বাধ্য হয়ে তিনি মেয়েকে উদ্ধারের জন্য ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। আবার মামলা করায় ওই ছাত্রীর মা আমেনা বেগমকে মামলা তুলে নিতে নিয়মিত হুমকিও দিচ্ছে আসামীরা। এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন আমেনা বেগম।
জানা যায়, লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের প্রবাসী মো. হারুনের একমাত্র মেয়ে খাদিজা বেগম। হরিগঞ্জ দ্বীপশিখা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে সে। বাড়ি থেকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে চরভূতা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মো. ফজলুর ছেলে রাসেল তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিলো।
এ ঘটনা রাসেলের অভিভাবককে জানালে তাদের মানসম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে উল্টো ওই ছাত্রীর পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয় রাসেলের পরিবার। এসব ঘটনায় দীর্ঘদিন স্কুলে আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় ছাত্রীর। এক পর্যায়ে গত ২৯ অক্টোবর সকালে ওই ছাত্রী স্কুলের দিকে রওয়ানা হলে তাকে বখাটে রাসেলসহ কয়েকজন মিলে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তার মা। এরপর তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ৩১ অক্টোবর থানায় মামলা করেন অপহৃত স্কুল ছাত্রীর মা আমেনা বেগম।
ওই স্কুলছাত্রীর মা আমেনা বেগম জানান, ঘটনার ৬দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। মেয়েকে ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা যাবে। এছাড়া যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ