ময়মনসিংহের ফুলপুরে ঐতিহ্যবাহী জামিয়া আরাবিয়া আশরাফুল উলুম বালিয়া মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের এক ছাত্রকে (১১) বলাৎকারের অভিযোগে আইয়ুব আলী (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আউয়ুব আলীকে বুধবার (২ নভেম্বর) বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। পরে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। সে উপজেলার বেলটিয়া বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বালিয়া বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
অভিযোগে জানা যায়, জামিয়া আরাবিয়া আশরাফুল উলুম বালিয়া মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ওই ছাত্র মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে শিক্ষকের জন্য পান আনতে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে বালিয়া বাজারে যায়। এ সময় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী ওই ছাত্রকে তার দোকানে নিয়ে যায় এবং দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। পরে ছাত্রের চিৎকার শুনে সহপাঠীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। সঙ্গে সঙ্গে এ ঘটনা মাদ্রাসায় প্রকাশ হলে ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা আইয়ুব আলীর দোকানে গিয়ে ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে মাদ্রাসার মুহতামিমসহ শিক্ষকগণ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে ব্যবসায়ী আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে বুধবার ফুলপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা নং-৪, দায়ের করা হয়েছে। ফুলপুর থানা পুলিশ অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আইয়ুব আলীকে গ্রেফতার করে বুধবার (২ নভেম্বর) বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, ১১ বছরের এই মাদ্রাসা ছাত্র এক কথায় শিশু। খেলাধুলা-পড়াশোনার বয়স তার। এই বয়সী ফুটফুটে শিশুর জন্য মায়া জাগার কথা। কামনা জাগার তো কথা না। অথচ ৫০ বছর বয়সী আইয়ুব আলীর কামনাই জেগেছিল।
তাহলে বলাই যায়, আয়ুব আলী কোনো সাধারণ মানুষ নন সমাজকে কুড়ে খাওয়া কীটগুলোর মধ্যে একজন তিনি!
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মামলা দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আইয়ুব আলীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ