বগুড়ার সোনাতলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈদা পারভিনের স্বামীকে মারধরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে শামীম হোসেনকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে এ মামলা করেন ইউএনওর গাড়িচালক ফেরদৌস হোসেন। তবে এ ঘটনায় আটক আওয়ামী লীগ নেতার নাতি আলিফ অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় এবং মামলায় নাম না থাকায় আইন অনুযায়ী তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনাতলা থানা পুলিশের ওসি সৈকত হাসান।
এদিকে, দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে তিন আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বগুড়া আনসার-ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট শেখ ফিরোজ আহমেদ।
তিনি বলেন, সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিন আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন। তাই তাদেরকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সোনাতলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভিনের স্বামী আল আমিন সিকদার কাজল সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে ঢাকায় কর্মরত। ছুটির দিনগুলোতে তিনি সোনাতলায় আসেন। শনিবার বিকেলে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে ব্যাডমিন্টন গ্রাউন্ডে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। এ সময় সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বুলুর ছেলে শামিম হোসেন এবং নাতি আলিফ সেখানে দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিলেন। এক পর্যায়ে সেখানে ইউএনও সাঈদা পারভিনের স্বামী আল আমিন সিকদার কাজলও সেখানে যান।
খেলা শেষ হওয়ার পর তার গাড়িচালকের কাছে শামিম হোসেন সরকারি কর্মকর্তাদের খেলার পারফরমেন্স নিয়ে কটু মন্তব্য করেন। তখন এর প্রতিবাদ করলে শামিম হোসেন ও তার ছেলে সেখানে উপস্থিত আল আমিন সিকদার কাজলের ওপর চড়াও হয় এবং লাঠি দিয়ে মারধর করে। পরে পুলিশ শামিম হোসেন ও তার ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
সোনাতলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সাঈদা পারভিন জানান, তার স্বামী এখন বেশ অসুস্থ বোধ করছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার বাইরে নেওয়া হবে।
সোনাতলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈকত হাসান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বামীকে মারধরের ঘটনায় শনিবার রাত ১২টার দিকে শামিম হোসেনকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত শামিমকে রোববার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ