উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থদের পাঁকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। বলেন, ‘ইতোমধ্যে পাঁকা ঘর নির্মাণের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ১৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দেওয়াল, আরসিসি পিলার ও ছাদ দিয়ে এসব ঘর নির্মাণ করা হবে।’
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনয়িন চরজ্ঞান বেড়িবাঁধ এলাকার বিভিন্ন স্থান সরজেমেিন পরিদর্শন শেষে সাংবাকিদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এই উপজেলায় ঘর-বাড়ি দোকান-পাট ক্ষতি হয়েছে বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার সবই টিনের ঘর। আমাদের মন্ত্রণালয় থেক টিন ও গৃহ বিনির্মাণ মঞ্জুরি বাবদ নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে। এছাড়া মনপুরায় ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের ৩ হাজার প্যাকেট খাবার দেওয়া হয়েছে। এসব বিতরণ চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিটি দুর্যোগের পর দেখতে পাই আশ্রয় কেন্দ্র প্রয়োজনের তুলনায় কম। যার ফলে অনেক স্থাপনাকে আশ্রয় কেন্দ্রের আওতায় আনতে হয়। আমাদের ৪২৩টি আশ্রয় কেন্দ্র ও সাড়ে ৫শ’ মুজবি কিল্লা নির্মাণ কাজ চলমান আছে। আরও এক হাজার সাইক্লোণ শেল্টার করার জন্য সরকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিনা চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার প্রমূখ এসময় উপস্থিত ছিলেন। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করনে প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী হেলিকপ্টার যোগে সাগরকূলের চরফ্যাশন উপজেলার চর কুকরী মুকরীর ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে যান।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ