আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার-২০২২ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন নাটোরের সিংড়ার তরুণ সংগঠক মহসিন কবির রোশান। নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক সংগঠন কিডস রাইটস ফাউন্ডেশন তাকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। এ বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশ্বের ৪৬ দেশ থেকে ১৭৫ জন শিশুকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
প্রতি বছরের ১৪ নভেম্বর নেদারল্যান্ডে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে রোমে অনুষ্ঠিত নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের এক শীর্ষ সম্মেলন থেকে এই পুরস্কার চালু করে কিডস রাইটস ফাউন্ডেশন। শিশুদের অধিকার, নিরাপত্তা ও জীবনমান উন্নয়নে অসাধারণ অবদানের জন্য প্রতি বছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এই ক্যাটাগরিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৭৫ জন শিশুকে এ পুরস্কার দেয়া হবে। যাচাই-বাছাই শেষে দরিদ্র শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সেবামূলক কার্যক্রম ক্যাটাগরিতে তাকে মনোনীত করে কিডস রাইটস ফাউন্ডেশন।
কিডস রাইটসের ওয়েবসাইটে বলা হয়, মহসিন বাংলাদেশের মানুষের সাক্ষরতা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছেন এবং পাঠকদের নানাবিধ কল্যাণে অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। মহসিন কবির রোশান দেশের জনপ্রিয় পাঠক কল্যাণমূলক সংগঠন বাংলাদেশ বুক রিডার্স এসোসিয়েশন-এর প্রতিষ্ঠাতা, যার বর্তমান সদস্য সংখ্যা লক্ষাধিক।
বিনা মূল্যে বই প্রদানসহ মানবকল্যাণমূলক নানান প্রজেক্ট চালু রয়েছে এই সংগঠনের। বাংলাদেশ বুক রিডার্স এসোসিয়েশন-এর মাধ্যমে মহসিন এর মধ্যেই হাজারো পাঠকদের মধ্যে বিনা মূল্যে গল্পের বই বিতরণ করেছেন। তিনি বিনা মূল্যে একাডেমিক বই প্রদান করে শত শত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেছেন। বিনা মূল্যে কোরআন প্রজেক্টের আওতায় দেশের বিভিন্ন দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে কোরআন বিতরণ করেছেন।
ভবিষ্যতে তিনি সারা দেশের পাঠকদের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চান এবং তরুণদের মধ্যে বইয়ের বিপ্লব ঘটাতে চান। তিনি মনে করেন তরুণদের বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারলেই সমাজ থেকে অনেকাংশে অপরাধ কমে যাবে।
তরুণ সংগঠক মহসিন কবির রোশান নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের মহিষমারী গ্রামের মো. সোহরাব আলী ও মোছা. মর্জিনা বেগম দম্পতির সন্তান। তিনি নাটোরের কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজের শিক্ষার্থী।
মহসিন কবির বলেন, এ পুরস্কারে মনোনীত হওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সারা জীবন দেশ ও মানুষের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করে যেতে চাই।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ২০২০ সালে এই পুরস্কার জিতেছিল সাদাত রহমান। পুরস্কারটির মোট অর্থমূল্য এক লাখ ইউরো। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক শিশুদের পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ