পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের শতাধিক বাড়ি-ঘর, স্কুল, মসজিদ-মন্দির নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত পরিবার।
ভাঙন প্রতিরোধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এবার ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ইউনিয়নের আটখালী গ্রামের ভাঙন কবলিত নদীর তীরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
গ্রামবাসীরা বলেন, আটখালী, হোগলবুনিয়া ও ডাকুয়া এই তিন গ্রাম নদীগর্ভে প্রায় বিলীনের পথে। এসব গ্রামের একশত পরিবার বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমরা ত্রাণ চাই না, একটু ভালোভাবে বাঁচতে চাই। এই ভাঙন এখন বন্ধ না করা গেলে বাস্তুহারা হবে অগনিত মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে গলাচিপা নদীর ভাঙনে আটখালী, হোগলবুনিয়া ও ডাকুয়া গ্রামের দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রায় অর্ধেক এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যদি নদী শাসন না করা হয়, তাহলে অচিরেই বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি প্রয়াত আলতাফ মাহমুদের কবরস্থানসহ অন্যান্য স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
গ্রামবাসীর সঙ্গে মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গলাচিপা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিত কুমার দত্ত মলয়, ডাকুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ গাজী ডাকুয়া ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম মিঠু, শাহ আলম মৃধা, মো. সায়েম, মো. উজ্জল মিয়াসহ আরও অনেকে।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, ডাকুয়ার নদী ইতোমধ্যে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তবে তা স্থায়ী না। আমার ১শ পঞ্চাশ মিটার জায়গার জন্য প্রাক কলম (পেলান) তৈরি করে আমাদের ঢাকা অফিসে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে ।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ