ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বালুর ড্রেজার ডুবে নিহত ৮ শ্রমিকের মধ্যে ৪ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৭টায় হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে নিহত ব্যক্তিদের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়। তবে নিহত অন্য একজনের মরদেহ এখনো এসে পৌঁছায়নি। এদিকে আপন জনের মৃত্যুর কথা শুনে স্বজনদের কান্না আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে পুরো একটি গ্রাম। চারিদিকে চলছে শুধু শোকের মাতম। অনেকেই স্বজনদের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। কিছুক্ষণ পর পর দু-এক জন মূর্ছা যাচ্ছেন কারো সন্তান কারো স্বামী কারো পিতা হারানোর বেদনায়।
অপরদিকে নিখোঁজ ৮ জন শ্রমিকের মধ্যে ৫ জনের লাশ আগে উদ্ধার করা হলেও বাকি ৩ জন এখনো নিখোঁজ। পরে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বাকি ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন।
তিনি জানান, লাশে পচন ধরেছে। যত দ্রুত সম্ভব আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জৈনকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ সৈয়দ মহসিন জানান, মিরসরাইয়ে বালুর ড্রেজার উল্টে নিহত শ্রমিকদের বাড়ি পটুয়াখালীতে। এই ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। এখন পর্যন্ত মাহামুদ মোল্লা, আলামীন, জাহিদ ফকির ও ইমাম মোল্লার লাশ এসে পৌঁছেছে। তাদের দাফন শেষ হয়েছে। বাকিদেরকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।প্রতিটি নিহত পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন সদর উপজেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত গত ২৫ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে বালু তোলার ড্রেজার ডুবে মৃত্যু হয় ৮ শ্রমিকের। এদের সবার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নে। বালু ভর্তি জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পর থেকেই স্থানীয় ও পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তাদের দুই দিনের উদ্ধার অভিযানে নিহত শ্রমিকদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ