ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৪৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন বেতাগী উপজেলা

প্রকাশনার সময়: ২৬ অক্টোবর ২০২২, ১৭:০১

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ৪৮ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎহীন বরগুনার বেতাগী উপজেলার অধিকাংশ এলাকা। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার বাসিন্দারা।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বেতাগী জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হলে গত সোমবার ভোর থেকে উপজেলার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। ওইদিন রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলে আঘাত হানলে উপজেলার কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুটিসহ লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ পড়ে তার ছিড়ে যাওয়ায় উপজেলাব্যাপী বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন আংশিক মেরামত করে মঙ্গলবার রাতে বেতাগী পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবারহ চালু হলেও বুধবার দুপুর পর্যন্ত ইউনিয়ন পর্যায়ে বিদ্যুৎ সেবা চালু করা যায়নি। ফলে টানা ৪৮ ঘন্টার অধিক সময় ধরে উপজেলার সদর, হোসনাবাদ, বিবিচিন, মোকামিয়া, বুড়ামজুমদার, কাজিরাবাদ ও সড়িষামুড়ি ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রাম বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।

এদিকে টানা ৪৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকায় ভোগান্তি চরমে বিদ্যুৎ নির্ভর সাধারণ গ্রাহকদের। বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে থাকা মাছ, মাংস, সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা।

বেতাগী বাজারের ব্যাবসায়ী মাইনুল ইসলাম সাগর বলেন, দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ নাই। রাতে অন্ধকার, আর গরমের কারণে কষ্টের শেষ নাই। বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলে কোনো উত্তর পাওয়া যায় না। কবে বিদ্যুৎ আসবে জানি না।

মোকামিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, গত সোমবার ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগে থেকে বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ ছাড়া যেন অসহায় হয়ে পড়েছি। বাসা বাড়িতে থাকা মাছ মাংস পঁচে যাচ্ছে। মোবাইলে চার্জ নেই। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিনা।

বেতাগী পল্লী বিদ্যুৎ এরিয়া অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার বিমল সেন বলেন, উপজেলায় বিদ্যুৎ সেবা চালু করতে আমাদের অনেক কর্মী রাতদিন কাজ করছেন। ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার বিভিন্নস্থানে বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনেক চেষ্টায় পৌর শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হলেও এখনো উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপনের কাজ চলছে। তবে বড় ধরনের কোন ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। সরকারি বরাদ্ধ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ