ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাউফলে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে অর্ধশত ঘর বিধ্বস্ত

প্রকাশনার সময়: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ২১:৫৩
ঝড়ের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত একটি ঘর

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে পটুয়াখালীর বাউফলের বিভিন্ন এলাকার অর্ধশত ঘর বিধস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে ঘেরের মাছ। ভেঙে গেছে পাকা সড়ক। উপড়ে পড়েছে কয়েক সহস্রাধিক গাছ ।

গত রোববার (২৩ অক্টোর) দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল পর্যন্ত ভারি বর্ষণ ও ঝড়ে এ সব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আজ (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সরেজমিনে উপজেলার নাজিরপুরের ধানদীতে গিয়ে দেখা গেছে, মো. হানিফের ঘরের ওপর বিশাল আকৃতির দুটি গাছ পড়ে আছে। ‍দুমড়ে-মুচড়ে গেছে ঘর। হানিফ ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করেন।

একই গ্রামের আলম ফরাজি, লুৎফর মুন্সির বসত ঘরেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ঝড়ো বাতাসের প্রভাবে ধানদী ও নিমদী গ্রামের অন্তত ১০টি ঘর ভেঙে গেছে।

এদিকে পানির তোড়ে বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের অটোচালক মো. হারুনের ঘরের ভিটে মাটি ও যাতায়াতের সড়কের মাটি চলে গেছে। নদীবেষ্টিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের রায় সাহেব গ্রামের শাহ আলম রাঢ়ী, আইয়ুব আলী সিকদার, ফজলে করিম খান, চরওয়াডেল গ্রামের মো. জসিম চৌকিদার, মোসা. ফারজানা বেগম, চর ব্যারেট গ্রামের মো. হেলাল হাওলাদার, দক্ষিণ চর ওয়ার্ডের গ্রামের মো. জুলহাস চৌকিদার, ৮নং ওয়ার্ডের জুলহাস চৌকিদার ও ৫নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিম ফরাজির ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক ওরফে আলকাচ মোল্লা বলেন, ‘ঝড়ো বাতাসে গাছ পড়ে ও পানির তোড়ে তাঁর ইউনিয়নে ৩০-৪০টি ঘর বিধস্ত হয়েছে। অস্বাভাবিক পানিতে দুই শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। এছাড়াও চরওয়াডেল খানকা এলাকার পাকা সড়ক এবং চররায় সাহেব, চরব্যারেট ও চরনিমদী এলাকার মাটির সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’

এদিকে গত রোববার দিবাগত রাত থেকে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। যদিও বিকেল পৌনে চারটার দিকে উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে। বিদ্যুতের বাউফল জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, অসংখ্য বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের ১৬টি খুঁটি ভেঙে গেছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের ১০টি অংশের স্টিলের পাত ভেঙে গেছে ও ঝড়ো বাতাসের প্রভাবে ৮০জন গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-আমিন বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ