ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট বাতাস ও টানা বৃষ্টিতে উপকূলীয় জেলা বরগুনার বেতাগীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গেছে বসত ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গাছপালা। ভাসিয়ে নিয়ে গেছে আমন ক্ষেত, মাছের ঘের, পানের বরজ ও কলা ক্ষেত। বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে বেতাগীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এদিকে রোববার মধ্যরাত থেকে বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওর্য়াক না থাকায় অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিল্টন বলেন, সিত্রাংয়ে আমার বসতঘরের ওপর গাছ পরে ঘর ভেঙে গেছে। ঘরে পরিবার নিয়ে ছিলাম। ঘরের ক্ষতি হয়েছে, তবে আমাদের ক্ষতি হয়নি।
মৎস চাষী মারুফ সিকদার জানান, সিত্রাংয়ের পানিতে আমার পুকুরের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছ ভেসে গেছে।
দক্ষিণ করুনা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সোবাহান জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ঝড়ো হাওয়ায় এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছ উপড়ে পড়ে গেছে।
উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (ওজোপাটিকো) বিমল চন্দ্র সেন জানান, বিভিন্নস্থানে লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল। তবে চেষ্টা চলছে, দ্রুত সংযোগ দিতে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় প্রশাসনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি ছিল। সোমবার সন্ধ্যার আগেই আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আসেন। তাদের শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণের কাজ চলছে। সরকারি বরাদ্ধ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের বিতরণ করা হবে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ