ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। পটুয়াখালী জেলার সব জায়গা চলছে ভারী বৃষ্টিপাত। সকল নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের থেকে তিন থেকে চার ফুট উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলার সকল ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে নৌ কর্তৃপক্ষ।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবা সুখি জানান, রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টা পর্যন্ত মোট ২০০ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টার সময় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি ৩৩৫ কি.মি দক্ষিণে অবস্থান করছিলো।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, ২৬টি মুজিব কিল্লা খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলার ৮ উপজেলায় নগদ ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ওষুধ ও মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় উদ্ধারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সর্বদা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ১০ হাজার জিও ব্যাগ ও লোকবল প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন।
ইতোমধ্যে অমাবস্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে অনেক ফসলি জমিসহ অনেক নিন্মাঞ্চল না। এছাড়াও পটুয়াখালী পৌর এলাকার জুবলি স্কুল সড়ক, লতিফ স্কুল সড়ক, পুরাতন হাসপাতাল এলাকা ও নিউমার্কেটসহ বেশ কিছু রাস্তাঘাট বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ