আশুলিয়ায় পরিত্যক্ত কুয়া থেকে পোশাক শ্রমিক পলির গলিত মরদেহ উদ্ধারের ৮ ঘণ্টা পর হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় র্যাব। এর আগে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ির হাকিমপট্টি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃতরা হলো শেরপুর জেলার সদর থানাধীন কামারেরচর চরদিবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মো. রেজাউল ইসলাম (৪২), একই জেলার ঝিনাইগাতী থানার দড়িকালি গ্রামের মৃত সমির উদ্দিনের ছেলে মো. সামিউল (৩২) ও টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানাধীন শিক কাঠুড়া গ্রামের মো. জলিল মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৯)।
র্যাব জানায়, ৩২ বছর বয়সি নিহত পলি আশুলিয়ায় পলমল গ্রুপের আর.কে-২ নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তিনি ঝালকাঠি জেলার পুঞ্জিপুতিপাড়া গ্রামের হাশেম মোল্লার মেয়ে। পলমল গ্রুপের শ্রমিক পলি গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ছুটির পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি।র্যাব আরও জানায়, প্রধান আসামি রেজাউল স্ত্রী সন্তানসহ টঙ্গাবাড়ির হাকিমপট্টি এলাকায় পলির ভাড়া বাসার পাশেই ভাড়া বাসায় থাকতেন। এবং চায়ের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পাশাপাশি বাসা হওয়ার সুবাদে রেজাউল ও পলির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে রেজাউলের স্ত্রী এ বিষয়ে জানতে পারে। একইসঙ্গে পলি রেজাউলকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। পরে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
পরবর্তীতে বন্ধু সাইফুল ও সামিউলের সহায়তায় রেজাউল পলিকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১১ অক্টোবর কারখানা ছুটির পর পলিকে কাজি অফিসে নেওয়ার কথা বলে জনমানবহীন নির্জন এলাকায় নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে পরিত্যক্ত কুয়ার মধ্যে ফেলে দিয়ে চলে যায় তারা।র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) এএসপি মাজহারুল ইসলাম প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, গতকাল ওই কুয়া থেকে লাশ উদ্ধার হলে পলির পরিবার আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর পর ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ