সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে মোট ভোট কাস্টিং হয় ৯৪.০১ ভাগ।
নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা
১নং সাধারণ ওয়ার্ডে ধনবাড়ীতে মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন (হাতি) ৭৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মজিদ মিন্টু (তালা) পান ৩৩ ভোট।
৩নং ওয়ার্ডে গোপালপুরে এসএম রর্ফিকুল ইসলাম (হাতি) ৬৯ ভাট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শেখ ফেরসৌদ ওয়াহিদ (টিউবওয়েল) পান ৩২ ভোট।
৪ নং ওয়ার্ডে ভূঞাপুরে খায়রুল ইসলাম তালুকদার (টিউবওয়েল) ৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আজহারুল ইসলাম (অটোরিকশা) পান ৪২ ভোট ।
৫নং ওয়ার্ডে ঘাটাইলে রোজনুজ্জামান মিয়া (টিউবওয়েল) ৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মজিবর রহমান (তালা) পান ৬২ ভোট।
৬নং ওয়ার্ডে কালিহাতীতে আয়নাল হক (তালা) ১২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাছানুজ্জামান তালুকদার (টিউবওয়েল) পান ৭০ ভোট।
৭নং ওয়ার্ডে টাঙ্গাইল সদরে মাসুরুল ইসলাম (টিউবওয়েল) ৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মেহেদী হাসান ফেরসৌদ (হাতি) পান ৫২ ভোট।
৮নং ওয়ার্ডে নাগরপুরে শহিদুল ইসলাম (টিউবওয়েল) ১২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খালিদ হোসেন (তালা) পান ৩২ ভোট।
৯নং ওয়ার্ডে দেলদুয়ারে মোশারফ হোসেন (তালা) ৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এস প্রতাপ মুকুল (টিউবওয়েল) পান ৪৪ ভোট।
১০নং ওয়ার্ডে মির্জাপুরে তাহেরুল ইসলাম (বৈদ্যুতিক পাখা) ৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আরিফুল ইসলাম খান (তালা) পান ৫০ ভোট।
১১নং ওয়ার্ড বাসাইলে নাছির খান (টিউবওয়েল) ৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ হোসাইন খান (অটোরিকশা) পান ২১ ভোট।
১২ নং ওয়ার্ড সখীপুরে আনোয়ার হোসেন (৪৭) ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল হাই তালুকদার (তালা) পান ৪২ ভোট।সংরক্ষিত
সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে মাহমুদা খাতুন (হরিণ) ১৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আছমা খাতুন (ফুটবল) পান ১৩০ ভোট।
২নং ওয়ার্ডে রাজিয়া সিদ্দিকী (টেবিল ঘড়ি) ৩৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাছিমা বাছিত (হরিণ) পান ১৫০ ভোট।
৩নং ওয়ার্ডে শিমু খান (হরিন) ২১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাজমুজ সালেহীন (টেবিল ঘড়ি) পান ১৪৯ ভোট।
৪ জন ওয়ার্ডে খালেদা সিদ্দিকী (দোয়াত কলম) ১৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রুমা খান (হরিন) পান ১৪০ ভোট।এদিকে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ২নং ওয়ার্ড মধুপুরে সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়।
এর আগে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে ইভিএমের মাধ্যমে সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আতাউল গনি বলেন, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করে। ভোটারা নিয়ন মেনে ভোট দিয়েছেন।
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, এ নির্বাচন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। কোথায় কোনো ধরনের অপৃতিকর ঘটনা ঘটেনি।
টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান বলেন, নির্বাচনে মোট ভোট কাস্টিং হয় ৯৪.০১ ভাগ। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলো ১ হাজার ৭২২ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৬১৯ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনের কেন্দ্রের ভিতর এবং বাইরে সিসি ক্যামেরা ছিলো।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ