রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাস থেকে ফেলে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম- আবু সায়েম মুরাদ (৩৭)। এ ঘটনায় বাস চালক শাহ আলম (৪৫) ও হেলপার মো. মোহনকে (২০) আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় উত্তেজিত জনতা চালক ও হেলপারকে গণধোলাই দিয়ে বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে। গণধোলাইয়ের শিকার চালক ও হেলপারকে গ্রেফতারের পর পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছে।
নিহতের বড় ভাই আবু সাদাত জানান, তার ভাই মতিঝিলের একটি বায়িং হাউজে চাকরি করতেন। অফিস শেষে শনিবার বাসে করে শহীদ ফারুক সড়কের বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় হেলপার এক যাত্রীর কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেওয়ায় মুরাদ প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে বাসের মধ্যে তাদের তর্ক বাধে। এর জেরে শহীদ ফারুক সড়কে নামার সময় হেলপার ধাক্কা দিয়ে মুরাদকে ফেলে দেন। এরপর তার মাথার ওপর দিয়ে বাসের পেছনের চাকা তুলে দেওয়া হয়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আবু সায়েম মুরাদ ৮ নম্বর বাসের যাত্রী ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহীদ ফারুক সড়কের টনি টাওয়ারের সামনে তিনি বাস থেকে নামার সময় পড়ে যান। এ সময় বাসটির পেছনের চাকা তার মাথার ওপরে উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এ ঘটনায় উপস্থিত জনতা বাসটি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুল আলম বলেন, নিহত মুরাদের বাসা শহীদ ফারুক সড়কে। তিনি মতিঝিল থেকে ওই বাসে উঠেছিলেন। বাসটির চালক মো. শাহ আলম ও হেলপার মো. মোহনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ