ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিষপানে নারীর মৃত্যু; পরিবারের অভিযোগ ‘হত্যা’

প্রকাশনার সময়: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ২২:১৬

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হড়েরকান্দা (চান্দাখোলা) গ্রামের আয়ুব সরদারের মেয়ে সিতারা (২২) বিষপানে মারা গেছেন। তবে পরিবারের অভিযোগ তাকে বিষপান করিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের বড় বাংরাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সিতারার পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, সোনাপুর ইউনিয়নের বড় বাংরাইল গ্রামের বিশাই শেখের ছেলে মালয়েশিয়া ফেরত আওলাদ শেখ(৩৮) এর সাথে মোবাইলে বিয়ে হইয়েছিল সিতারার। গত ৩ অক্টোবর মালয়েশিয়া থেকে আওলাদ শেখ বাড়িতে আসে। এরপর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী সিতারার বাবার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতো আওলাদ শেখ। বৃহস্পতিবার সকালে সিতারা তার বাবার বাড়ি থেকে বের হয়ে স্বামী আওলাদ শেখ এর বাড়ি বড় বাংরাইল গ্রামে যায়।

আওলাদ শেখ এর প্রথম স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রেবেকা বেগম বলেন, আনুমানিক সকাল ৮-৯ টার সময় সেতারা আমাগো বাড়ি আসে এবং বলে আমি বিষ খেয়ে আইছি আমাকে হাসপাতালে নেন পরে আমাগো বাড়ির লোকজন সিতারাকে প্রথমে ফুলবাড়িয়া বাজারের ডাক্তারের কাছে নেয়, পরে অবস্থা খারাপ দেখে নগরকান্দা হাসপাতালে নিলে সেখানে দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে মেয়ের বিষপান করার বিষয়ে তার বাবার বাড়ির লোকজনকে না জানিয়ে মেয়ের মরদেহ নিয়ে বাড়িতে পৌঁছালে তখন তারা জানতে পারে যে সিতারা মারা গেছে। সে সময় মরদেহের সাথে থাকা আওলাদ শেখ এর দুই বোনকে প্রহার করে নিহতের স্বজনরা।

নিহত সিতারার মা বলেন, আমার মেয়ে সকালে ভালোভাবে বাড়ি থেকে বাহির হয়ে গেছে। মেয়ে বিষ খেয়েছে বা তারা মেয়েকে হাসপাতালে নিয়েছে তা আমাদের কাউকে জানায়নি। এছাড়া তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে গার্মেন্টসে চাকরি করে। আওলাদ বউ ও দুটি সন্তান থাকা সত্বেও আমার মেয়ে সিতারাকে ফাঁসিয়ে মোবাইলে বিয়ে করে। ওরা আমার মেয়েকে বিষ খাওয়াইয়া মাইরা ফেলাইছে আমরা মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

বিষপান করার বিষয়ে জানার অনেক পরে হাসপাতালে নেওয়ায় এবং সময় মতো চিকিৎসা না দেওয়ায় সিতারা মারা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেকেই বলেন। ঘটনার পর থেকেই আওলাদ শেখ গা ঢাকা দিয়েছেন।

সালথা থানা পুলিশ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে পোস্টমর্টেম করার জন্য ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, বিষপান করে মারা গেছে শুনেছি, নগরকান্দা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে তারা মরদেহ নিয়ে আসছে, আমাদের আইনানুগ যে ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা তাই নিব।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ