রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার একটি বাসায় ডেকে নিয়ে এক বিউটিশিয়ান গৃহবধূকে (২৫) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই গৃহবধূ অনলাইনের মাধ্যমে বিউটিশিয়ানের কাজ করতেন।

বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ওই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে ধানমন্ডি-২৮ নম্বর সড়েকের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর স্বামীর বন্ধু আল আমিন হায়দার জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী হাজারীবাগ এলাকায় থাকে। স্বামী অনলাইনে জুতার ব্যবসা ও স্ত্রী অনলাইনে বিউটিশিয়ানের কাজ করত। গতকাল একটি মেয়ে ফোন দিয়ে ধানমন্ডি-২৮ নম্বর যেতে বলে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ধানমন্ডিতে যায়। সেখানে একটি ছেলে তাকে রিসিভ করে একটি নির্জন বাসার ২য় তলায় নিয়ে যায়। বাসায় একটি মেয়েসহ তিনজন ছেলে ছিল। এরপর তারা মেয়েটিকে ড্রিংস করতে বলে। মেয়েটি ড্রিংস না করায় তাকে মারধর করে এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পালাক্রমে ৩ জন গণধর্ষণ করে।

আলা আমিন হায়দার আরো জানান, ধর্ষণের পর তারা মেয়েটিকে বলে পালিয়ে যা- না হলে মেরে ফেলব। পরে সে বাসা থেকে বেরিয়ে একটি পাঠাও করে গাবতলি যায়। সেখান থেকে তার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। মেয়েটির স্বামী তখন সাভার এক বন্ধুর বাসায় ছিল। এবং সেখানে আসতে বলে। সাভারের বাসায় গিয়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আজ বুধবার সকালে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে। বিষয়টি ধানমন্ডি থানায় অবহিত করে। পরবর্তীতে সেটি থানমন্ডী থানায় এলাকায় না হওয়ায় শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়।

আল আমিন আরো জানান, ভুক্তভোগী নারী পুলিশ ও র‌্যবকে নিয়ে যে বাসায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে সে বাসায় নিয়ে গেলে পুলিশ আসামিদের সনাক্ত করে। মুল অভিযুক্তের নাম রিয়াদ বলেও জানান তিনি।

শেরে বাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘অপরাধীদের সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে আমরা কাজ করছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’

মেয়েটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে।

নয়া শতাব্দী/জেআই