কমলগঞ্জের অন্তঃসত্ত্বা পারভীন বেগমের বসতঘর ভেঙে দিয়েছে মহিউদ্দিন গংরা। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে মামলার হাজিরা দিতে আদালতে গেলে প্রতিপক্ষরা তার বসতঘর ভেঙে ঘুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
পারভীন বেগম বলেন, মৌরসী সূত্রে শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী এলাকায় দক্ষিণের পাহাড় মৌজার খতিয়ান নং ৬০, জেল নং ৪৩ এর এসএ দাগ ১১০২, হাল দাগ ১৮৩৯ ও ১৮৪০ এর ৭ শতক জমির মালিক তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই জমি ভোগদখল করে আসছেন। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন তার সেই জমিটুকু গাজি সালাউদ্দিন ইসলামী একাডেমির দখলে রয়েছে।
জমি ফিরিয়ে দিতে একাডেমিকে বললে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নানা টালবাহানা শুরু করেন। পরে গত ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেই তালা খুলে দেওয়া হয়। জমির এই সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শালিস বৈঠকে বসার কথা ছিলো। একইদিনে প্রতিপক্ষের দায়েরকৃত মামলার ধার্য্য তারিখও ছিল। মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে প্রতিপক্ষ মহিউদ্দিন আহমদ মুহিত ও তার সহযোগিরা বসতঘর ভেঙে ঘুরিয়ে মালামাল নিয়ে যায়।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, ভেঙে ফেলা ঘর আবার নির্মাণ করছেন পারভীন বেগম।অভিযুক্ত শমশেরনগর বাজারের শাপলা ট্রেডার্সের মালিক মহিউদ্দিন আহমদ মুহিত বলেন, ইলালউদ্দিন ও তার স্ত্রী হাসনা আহমেদ-এর কাছ থেকে জমি ক্রয় করে জমিতে মাটি ভরাট করে বাউন্ডারি দিয়ে ভোগদখল করছেন। পরে জমির দাগ ভুল হওয়ায় মামলা করে দাগ সংশোধন করে মাপযোগ করে নেন।
জমি বিক্রি করতে চাইলে প্রতিপক্ষ পারভীন বেগম জমির মালিকানা দাবি করে তার টিনসেটের ঘরটি দখল করে নেন। তিনি বলেন, পারভীন বেগমের দাবিকৃত দাগের জমি গাজি সালাউদ্দিন ইসলামী একাডেমির দখলে রয়েছে। কিন্তু তিনি আমার খরিদা জমি জোরপূর্বক দখলে নিতে চান।
এ বিষয়ে গাজি সালাউদ্দিন ইসলামী একাডেমির অধ্যক্ষ আব্দুল অদুদ বলেন, পারভীন বেগমের সাথে প্রতিষ্ঠানের জমি সংক্রান্ত কোনো বিরোধ নেই। জমির দাগ ভুল থাকায় মহিউদ্দিন আহমদ মুহিতের সাথে দলিলমূলে জমি বিনিময় করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ