‘জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত প্রভাব নিরসন করে ডাল ফসল উন্নয়নের কৌশল নির্ধারণ’ শীর্ষক দুদিনব্যাপী বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ঈশ্বরদীসহ ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (বিএআরআই) সমাপ্ত হয়েছে।
এর আগে সোমবার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে জুম প্লাটফর্মে সংযুক্তির মাধ্যমে গাজীপুরসহ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। সভাপতিত্ব করেন ঈশ্বরদীসহ ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. মহি উদ্দিন ।
প্রশিক্ষণে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়ার এসিআইএআর প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট লিডার মৃন্ময় গুহ নিয়োগি। এ ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন মাদারীপুর আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. সালেহ উদ্দিন। দেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও বিএডিসি-এর কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণের শুরুতে প্রকল্প পরিচালক ড. মো. সালেহ উদ্দিন প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শাহিনুজ্জামান। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানীরা।
প্রধান অতিথি বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, ডাল হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ আমিষ সমৃদ্ধ ফসল । ইহা মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তায়, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি ও পশুর খাদ্য হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশে ডালের উৎপাদন কম হওয়ায় প্রতি বছর ডাল আমদানিতে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয় । এজন্য ডালের নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে এবং চর এলাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের পতিত জমি ব্যবহার করে ডালের উৎপাদন বৃদ্ধির জোর দেওয়া হয়।
এ ছাড়া প্রশিক্ষকগণ ডাল ফসলের জাত পরিচিতি, জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত প্রভাবের কারণে ডাল ফসল চাষের সমস্যা ও উত্তোরণের উপায়, ডাল ফসলের রোগ ও পোকামাকড় এবং তাদের দমন ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন, যা প্রশিক্ষণার্থীদের বাস্তব ভিত্তিক জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করবে। অর্জিত জ্ঞান ডালের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ