ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কোরবানির হাটে বিক্রি না হওয়া গরুটি অবশেষে মারা গেল

প্রকাশনার সময়: ১০ আগস্ট ২০২১, ১৬:৪৩ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২১, ১৬:৪৭

কোরবানির ঈদের আগে রাজধানী ঢাকায় গরুটির দাম হয়েছিল ৮ লাখ টাকা। তবে ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করার জন্য গরুটি ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। সঠিক দাম না মেলায় গরুটি সে সময় বিক্রি করতে পারেননি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কৃষক আব্দুল গফফার। অবশেষে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে গরুটি।

আব্দুল গফফার কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের গৌরঙ্গপুর গ্রামের মৃত সাহের গাইনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক।

কৃষক আব্দুল গাফফার জানান, ঢাকার হাটে গরুটির দাম উঠেছিল ৮ লাখ টাকা। তবে আমার দাবি ছিল গরুটি বিক্রি করবো ১২ লাখ টাকায়। দামে বনিবনা না হওয়ায় গরুটি বিক্রি করিনি। বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছিলাম। গরুটি হঠাৎ অসুস্থ হলে ইউনিয়নের পশু চিকিৎসক ইব্রাহিম হোসেনকে ডাকি। তিনি পরামর্শ দেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের চিকিৎসক মাজবুর রহমানকে দেখানোর জন্য। গরুর গায়ে ৫-৭ টি ইনজেকশন পুষ করেন মাজবুর ও কিছু পাউডার দেন। পরে গরুটি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে পরে অনেকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেনি। অবশেষে শুক্রবার (৬ আগস্ট) গরুটি মারা গেছে। আমি গরীব মানুষ বড় ক্ষতি হয়ে গেছে আমার। থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি বিচার চাই, ক্ষতিপূরণ চাই।

অভিযোগের বিষয়ে কেরালকাতা ইউনিয়ন কৃত্রিম প্রজনন টেকনিশিয়ান ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমি ওই গরু চিকিৎসা করিনি। তারা আমাকে চিকিৎসার জন্য বলেছিলো। আমি উপজেলা অফিসের পশু চিকিৎসক মাজবুর রহমানের কাছ থেকে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।

এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মাজবুর রহমান গরুটিকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

তবে সাতক্ষীরা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বিষয়টি তদন্তের জন্য আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। যেটি জানতে পেরেছি, এই কৃষক খুবই অজ্ঞ মানুষ। তিনি কিছুই বোঝেন না। গরুটি অসুস্থ হওয়ার পর প্রথমে ইউনিয়ন টেকনিশিয়ান ইব্রাহিম হোসেনকে জানায়। তারপর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজবুর রহমান একদিন চিকিৎসা দিয়েছে। এরপর গরুটি সুস্থ হয়ে যায়। তারপর গরুটি আবার অসুস্থ হয়ে গেলে বার বার ইব্রাহিমকে জানিয়েছে তবে ইব্রাহিম উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেনি। এরপর গরুটি মারা গেছে।

কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবীর জানান, কৃষক আব্দুল গফফার খুব অসহায় মানুষ। ভুল চিকিৎসায় দামি গরুটি মারা যাওয়ায় তিনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। থানাতে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। কৃষক আব্দুল গফফার তার ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ