মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে জুয়া খেলার ছবি তোলায় সাংবাদিক মিজানুর রহমান ঝিলুর ক্যামেরা ছিনতাই ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পদ্মা সেতু উত্তর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। আহত মিজানুর রহমান ঝিলু লৌহজং প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সমকালের লৌহজং প্রতিনিধি। খবর পেয়ে পদ্মা উত্তর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসাইনের নেতৃত্বে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করছে। একই সাথে সাংবাদিক ঝিলুকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকৎসা দেয়া হচ্ছে।
ওসি জানান, অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আহত মিজানুর রহমান ঝিলু বলেন, শিমুলিয়া ৩নং লঞ্চঘাট এলাকায় জুয়া খেলার সময় ছবি তুলতেই কুমারভোগ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতা মতি মাতবরের ছেলে সুমন মাতবরের নেতৃত্বে ৭/৮ জন লোক আমার উপর আক্রমণ চালায়। এই সময় তারা আমার ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, ঘাট নিড়িবিলি থাকার সুযোগে ছিনতাইকারী, নেশাখোর এবং জুয়াড়িদের আড্ডায় পরিণত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানায়, এই সুমন এলাকার একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ড্রেজার ব্যবসায়ী মতি মাতবরের ছেলে। পদ্মা নদীর বালু উত্তোলনের ড্রেজার গুলো সুমনের বাবা মতি মাতবরের নেতৃত্বে চলে এবং ঘাট এলাকার দর্শনার্থীদের হয়রানি, ছিনতাই, জুয়া ও মাদকব্যবসা গুলো তার ছেলে সুমনের নেতৃত্বে চলে। তাদের হাত উপর মহল পর্যন্ত। তাই তাদের এসব কাজে যে বাধা দিবে, সেই বিপদে পরবে। থানা পুলিশ করে কোন লাভ নাই। তাতে হিতে বিপরিত হবে।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ